promotional_ad

জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে

ছবি- সংগৃহীত
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


বার্মিংহামে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ৩৪ রানের লিড নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া স্টিভেন স্মিথ এবং ম্যাথু ওয়েডের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৪৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে জয়ের জন্য জো রুটদের সামনে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়।


ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আর নেই। তাই জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে। রেকর্ড রানের  লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩ রান নিয়ে দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। পঞ্চম দিন রোরি বার্নস ৭ এবং জেসন রয় ৬ রান নিয়ে খেলতে নামবেন।


এর আগে ৩ উইকেটে ১২৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে টিম পেইনের অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ এবং বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেডের ১৩০ রানের জুটি সফরকারীদের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়।


দলীয় ২০৫ রানের মাথায় হেডকে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস। ৫১ রান করে হেড ফেরার পর পঞ্চম উইকেটে ম্যাথু ওয়েডকে সঙ্গে নিয়ে ১২৬ রানের আরেকটি বড় জুটি গড়েন স্মিথ। একই সঙ্গে তুলে নেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি। 


প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দারুণ একটি রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন স্মিথ। টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম ইনিংসে ২৫তম সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটসম্যানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। এক্ষেত্রে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির রেকর্ড ভেঙেছেন এই সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। 


 ২৫তম টেস্ট সেঞ্চুরি পেতে কোহলি খেলেছেন ১২৭ টি ইনিংস। স্মিথ ১১৯তম ইনিংস খেলেই তাঁর এই রেকর্ডটি ভাঙলেন। এই তালিকায় সবার উপরে আছেন অজি কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। তিনি ৬৮ ইনিংসেই ২৫তম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন।



promotional_ad

এ ছাড়া অ্যাশেজ সিরিজে পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানোর কৃতিত্ব গড়েছেন স্মিথ। ঐতিহ্যবাহী এই সিরিজে স্মিথের মোট সেঞ্চুরি সংখ্যা দশটি। অ্যাশেজে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেঞ্চুরি হাঁকানোর তালিকায় স্বদেশী স্টিভ ওয়াহর পাশে তিন নম্বরে জায়গা করে নিলেন স্মিথ। ব্র্যাডম্যানের মোট সেঞ্চুরি সংখ্যা ১৯টি। ১২টি সেঞ্চুরি নিয়ে এই তালিকার দ্বিতীয়তে ইংলিশ কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জ্যাক হবস।


শেষ পর্যন্ত স্মিথ থেমেছেন ব্যক্তিগত ১৪২ রানে। ক্রিস ওকসের বলে বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। স্মিথ ফিরলেও দারুণ ব্যাটিং করে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়েড। দলীয় ৪০৭ রানের মাথায় স্টোকসের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে ১১০ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। 


ওয়েডের বিদায়ের পর দ্রুত আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক টিম পেইন (৩৪)। তবে এরপর জেমস প্যাটিনসন এবং প্যাট কামিন্সের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বিশাল পুঁজি নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। প্যাটিনসন ৪৭ ও কামিন্স ২৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৮৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। আর স্পিনার মইন আলি নেন ১৩০ রানে ২ উইকেট। এছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড এবং ক্রিস ওকস। 


এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে স্মিথের সেঞ্চুরির সুবাদে ২৮৪ রান সংগ্রহ করেছিল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ৮৬ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে ধ্বস নামিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। ৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন ক্রিস ওকস। 


অস্ট্রেলিয়ার এই রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৩৭৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। দলের হয়ে ওপেনার রোরি বার্ন?? অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান। এছাড়াও অধিনায়ক জো রুট এবং অলরাউন্ডার বেন স্টোকস জোড়া হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন পেসার প্যাট কামিন্স এবং স্পিনার নাথান লায়ন। আর জেমস প্যাটিনসন ও পিটার সিডল পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। 


দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ২৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ক্যামেরন বেনক্রফট (৭) এবং ডেভিড ওয়ার্নারকে (৮) হারায় তারা। এরপর স্মিথের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যান উসমান খাওয়াজা। ব্যক্তিগত ৪০ রানে স্টোকসের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ট্রাভিস হেডকে সাথে নিয়ে ৩ উইকেটে ১২৪ রানে দিন শেষ করেন স্মিথ।


সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ



অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস)- ২৮৪/১০ (৮০.৪ ওভার) (স্মিথ- ১৪৪, সিডল-৪৪; ব্রড-৫/৮৬, ওকস-৩/৫৮)  


ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ৩৭৪/১০ (১৩৫.৫ ওভার) (বার্নস-১৩৩, রুট-৫৭; কামিন্স-৩/৮৪, লায়ন-৩/১১২) 


অস্ট্রেলিয়া (দ্বিতীয় ইনিংস)- ৪৮৭/৭ (১১২ ওভার) (ডিক্লে.) (স্মিথ-১৪২, ওয়েড-১১০; স্টোকস-৩/৮৫, মইন-২/১৩০) 


ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ১৩/০ (৭ ওভার) (বার্নস-৭*, রয়-৬*; সিডল-০/৪, প্যাটিনসন-০/২) 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball