বিরুদ্ধ স্রোতে সৌম্যর হাফসেঞ্চুরি

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আট উইকেটে ২৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ করেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৯৫ রান।
সৌম্যর ১১তম হাফ সেঞ্চুরিঃ
এক প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে উইকেট পড়তে থাকলেও বিরুদ্ধ স্রোতে ব্যাটিং করে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। এটি তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম হাফ সেঞ্চুরি।
আবারো ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহঃ
প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৩ এবং ৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ ব্যর্থ হয়েছেন আজকের ম্যাচেও। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় ডানহাতি পেসার দাশুন শানাকার তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। শানাকার ২০তম ওভারের চতুর্থ বলটি মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক কুশল পেরেরা গ্লাভসে জমা হয়। এক হাতে দারুণ একটি ক্যাচ লুফে নেন পেরেরা। এর ফলে ৯ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহকে।
ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দিলেন মিঠুনঃ
দাশুন শানাকার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। মাত্র চার রান করে কুমারাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হতে হয়েছে তাঁকে। দলীয় ৬০ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে সফরকারীরা।
আশা জাগিয়ে ফিরলেন মুশফিকঃ

তামিম-বিজয়ের বিদায় পর আশা জাগিয়েছিলেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতে বিদায় নিয়েছেন তিনিও। শানাকার বলে মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান।
প্রত্যাবর্তন রাঙাতে ব্যর্থ বিজয়ঃ
লম্বা সময় পর জাতীয় দলের একাদশে জায়গা মিলেছে এনামুল হক বিজয়ের। যদিও প্রত্যাবর্তন রাঙাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। রাজিথার বলে ফার্নান্দোকে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১৪ রানেই ফিরেছেন বিজয়।
আবারও ব্যর্থ তামিমঃ
ব্যর্থতার বেড়াজাল থেকে বের হতে পারছেন না অধিনায়ক তামিম ইকবাল (২)। এই ম্যাচেও ব্যর্থ হলেন তিনি। বড় লক্ষ্য তাড়ায় কাসুন রাজিথার বলে উইকেটরক্ষক কুশল পেরেরাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসের বিবরণঃ
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করেছিল দুই লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে এবং আভিষ্কা ফার্নান্দো। ওপেনার আভিষ্কাকে (৬) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন বাংলাদেশের পেসার শফিউল ইসলাম।
আভিষ্কা ফিরে গেলে করুনারত্নের সঙ্গে দলের হাল ধরেন কুশল পেরেরা। রানের চাকা সচল রাখেন এই দুজন। যদিও হাফ সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়েও তা ছুঁতে পারেননি করুনারত্নে। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম কে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
প্যাভিলিয়নে যাওয়ার আগে করেছেন ৬০ বলে ছয়টি চারে ৪৬ রান। পেরেরার সঙ্গে গড়েছেন ৮৩ রানের জুটি। এরপরের ওভারে রুবেল হোসেন তুলে নিয়েছেন কুশল পেরেরার উইকেট। পেরেরাও মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ফেরার আগে করেন ৫১ বলে পাঁচটি চারে ৪২ রান।
৯৮ রানে তিন উইকেট হারানোর পর কুশল মেন্ডিস এবং অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের হাত ধরে রানের চাকা সচল রাখে শ্রীলঙ্কা। এই দুজন দলের সঙ্গে যোগ করেন আরও ১০১ রান।
মেন্ডিস-ম্যাথুসের শতরানের জুটি ভেঙেছেন সৌম্য সরকার। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে মেন্ডিস সৌম্যকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। যাওয়ার আগে ৫৪ রান করেন তিনি।
ব্যক্তিগত ৬৪ রানে থাকা অবস্থায় ম্যাথুসের ক্যাচ ছেড়েছেন সাব্বির। অবশ্য এর পরের ওভারেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা দাসুন শানাকা'র ক্যাচ লুফে নিয়েছেন তিনি।
দুটি চার এবং সমান ছক্কায় ১৪ বলে ৩০ রান করে ফেরেন শানাকা। শানাকার পর শিহান জয়সুরিয়াকেও (৭ বলে ১৩ রান) ফেরান শফিউল।
শেষ ওভারে ফিরে যান ম্যাথুস। যাওয়ার আগে করেন ৯০ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কায় ৮৭ রান। সৌম্য সরকারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন শফিউল এবং সৌম্য।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
শ্রীলঙ্কাঃ ২৯৪/৮ (৫০ ওভার) (ম্যাথুস ৮৭, মেন্ডিস ৫৪, করুনারত্নে ৪৬; সৌম্য ৩/৫৬, শফিউল ৩/৬৮)
বাংলাদেশঃ ১০৪/৫ (২৪ ওভার) (সৌম্য ৫১*, সাব্বির-৭*; শানাকা-৩/২৭, রাজিথা-২/১৭)