ফাইনালের ভুলে অনুতপ্ত নন ধর্মসেনা

ছবি: ছবিঃ আইসিসি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপে বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন লঙ্কান আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। তাঁর সবচেয়ে গুরুতর ভুলটি ছিল বিশ্বকাপের ফাইনালে। ম্যাচটির গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওভার থ্রোতে চারের সঙ্গে দৌড়ে নেয়া ২ রান যোগ করে ছয় দেন ধর্মসেনা। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ৫ রান হওয়ার কথা ছিল।
ভুল মেনে নিলেও এ নিয়ে কোনো অনুশোচনাই নেই শ্রীলঙ্কান এই আম্পায়ারের। এমন সিদ্ধান্তের জন্য আইসিসির কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ধর্মসেনা। মাঠে বসে টিভি রিপ্লে দেখার সুযোগ নেই বলেও আক্ষেপ করেছেন বিতর্কিত এই আম্পায়ার।

‘টিভি রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দেয়া অনেক সহজ। অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে। রিপ্লে দেখে আমিও মানছি সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। কিন্তু আমাদের তো আর আয়েশ করে মাঠে বসে টিভি রিপ্লে দেখার সুযোগ নেই এবং এ নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনাও নেই। আমি যে তখন একটা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি, সে জন্য আইসিসি আমার প্রশংসাও করেছে।’
লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে জিততে হলে চার-ছক্কার বিকল্প ছিল না ইংল্যান্ডের। শেষ চার বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। শেষ ওভারের চতুর্থ বলটি মিড উইকেটে ঠেলে দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় রানআউট থেকে বাঁচতে ঝাঁপ দেন বেন স্টোকস। কিন্তু বলটি তাঁর ব্যাটে লেগে সীমানা পেরিয়ে যায়।
দৌড়ে নেয়া ২ রানের সঙ্গে ওভারথ্রোর ৪ মিলিয়ে ৬ রান দেন ধর্মসেনা। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এটা ৫ রান দেওয়া উচিত ছিল। কারণ বল থ্রো করার আগে তাঁরা দুই রান পূরণ করতে পারেননি। এই ছয় রানের ফলে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টাই করতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। সুপার ওভারেও রানসংখ্যা সমান হলে বাউন্ডারির হিসেবে শিরোপা জিতে নেয় ইংলিশরা।
আইন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তের জন্য থার্ড আম্পায়ারের সহযোগীতা পাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই লেগ আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাসের সঙ্গে আলোচনা করে ৬ রান দিয়েছিলেন বলে জানান ধর্মসেনা। অন্য আম্পায়াররাও টিভি রিপ্লে দেখেননি সেই সময়। ফলে সব কিছু ভেবেই এই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ধর্মসেনা বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্তের জন্য আমরা থার্ড আম্পায়ারের কাছে যেতে পারবো না। সুতরাং, আমি লেগ আম্পায়ারের (ইরাসমাস) সঙ্গে আলোচনা করেছি। যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্য আম্পায়াররা কী বলেছেন সেটা শুনেছি। তারাও তখন টিভি রিপ্লে দেখেননি। সুতরাং, সবকিছু ভেবে চিন্তেই আমি আমার সিদ্ধান্ত দিয়েছি।’