বাংলাদেশের ২০-৩০ রানের কমতি ছিল, দাবি কার্তিকের

ছবি: দীনেশ কার্তিক

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা যেন এলেন আর গেলেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ শামির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে গেছেন সৌম্য সরকার। পরের ওভারে আউট হয়েছেন অধিনায়ক শান্ত। চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজও ফিরেছেন দ্রুতই। নবম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে এসে তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে পুরো ছিটকে দেন অক্ষর প্যাটেল।
মাহমুদউল্লাহর ফিটনেস দেখে একাদশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ
৩ ঘন্টা আগে
পাওয়ার প্লে শেষের আগেই ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশ। একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যখন সবখানে বিরাজ করছে তখন ১৫৪ রানের জুটি গড়ে টাইগারদের পথ দেখিয়েছেন জাকের আলী অনিক ও তাওহীদ হৃদয়। যদি ভারতের ফিল্ডাররা সুযোগ নিতে পারলে আগেই ফিরে যেতে পারতেন তারা দুজন। প্রথম বলেই জাকেরের ক্যাচ ছেড়েছেন রোহিত শর্মা। একই ব্যাটারের বিপক্ষে স্টাম্পিং মিস করেছেন লোকেশ রাহুল।
সহজ ক্যাচ ছেড়ে হৃদয়কে জীবন দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেই হৃদয়ই শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করেছেন। আরেক ব্যাটার জাকের আউট হয়েছেন ৬৮ রানের ইনিংস খেলে। তাদের দুজনের এমন ইনিংসের পেছনে ভারতীয় ফিল্ডারদের কিছুটা সহায়তা থাকলেও হৃদয় ও জাকের সুযোগ কাজে লাগানোয় খুশি কার্তিক। ষষ্ঠ উইকেটে গড়া তাদের জুটির প্রশংসাও করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার।

আইসিসির ডেইলি ডিজিটালে সানজানা গানেশানের সঙ্গে আলাপকালে কার্তিক বলেন, ‘আমার মনে হয় ভারতের ফিল্ডারদের কাছ থেকেও কিছুটা সহায়তা পেয়েছে। বেশ কিছু সহজ সুযোগ হাত ছাড়া হয়েছে কিন্তু খেলার মাঝে খানিকটা আপনার ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়। তারা সেটা সাথে পেয়েছে এবং কাজেও লাগিয়েছে। তাদের দুজনের জুটিটা আমাদের বুঝিয়েছে বাংলাদেশ ম্যাচে আছে। খেলার শেষের দিকে তাওহীদ (হৃদয়) শারীরিকভাবে খানিকটা স্ট্রাগল করছিল।’
একটা সময় একশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হলেও জাকের ও হৃদয়ের ১৫৪ রানের জুটিতে ২২৮ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য তাড়ায় পাওয়ার প্লেতেই এক উইকেটে ৬৯ রান তোলে ভারত। যদিও ম্যাচ জিততে তাদেরকে খেলতে হয়েছে ৪৬.৩ ওভার পর্যন্ত। এত অল্প রান নিয়েও রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদরা যেভাবে লড়াই করেছেন সেটা চোখে পড়েছে কার্তিকের। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ২০-৩০ রান কম করেছিল সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
কার্তিক বলেন, ‘তারা (হৃদয় ও জাকের) বাংলাদেশকে ভালো জায়গায় নেয়ার উপায় খুঁজে পেয়েছিল। বলবো না যে ম্যাচ জেতানো পুঁজি। খুব সম্ভবত তারা ২০-৩০ রান কম করেছিল। কিন্তু তারা অন্ততপক্ষে লড়াই করেছে, মাথানত করেনি। এটা বাংলাদেশের জন্য ভালো দিক।’
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকারের মতো শান্তও মনে করেন বাংলাদেশ ২৫-৩০ রান করেছিল। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমিও এমন (২৫-৩০ রান কম) মনে করি। তবু হৃদয় ও জাকের যেভাবে ব্যাটিং করেছে, দুর্দান্ত। ফিল্ডিংয়েও আমরা ভুল করেছি। ক্যাচ নিতে পারিনি, রান আউটের সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। ক্যাচ নিতে পারলে হয়তো গল্পটা ভিন্নও হতে পারত।’