বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলনের চিত্র ছিল পুরোপুরি উল্টো। ভারতের সাংবাদিকদের আলোচনার বড় অংশ জুড়ে ছিলেন তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিবদের নিয়ে গড়া পেস ইউনিট। ১৮ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে বাংলাদেশের পেস বোলিং নিয়ে প্রশ্ন এসেছিল সাতটি। যার পাঁচটিই ছিল গতিময় বোলিংয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা নাহিদ রানা। আলোচনার প্রতিচ্ছবির দেখা মিলল ম্যাচের একাদশেও। 

আরো পড়ুন

পাওয়ার প্লেতেই 'ম্যাচ শেষ' বলছেন শান্ত, রোহিতের প্রশংসা পেলেন হৃদয়-জাকের

২০ ফেব্রুয়ারি ২৫

ভারতের একাদশে পাঁচ স্পিনারের ওয়াশিংটন ও বরুণ ছিলেন কেবল বাইরে। রোহিতরা তিন স্পিনার নিয়ে খেললেও বাংলাদেশ ভরসা রেখেছিল মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেনের উপর। বাড়তি স্পিনার থাকায় দুবাইয়ে ধীরগতির উইকেটে বাড়তি সুবিধাও পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে ১৫৯টি ডট বল আদায় করে নিয়েছেন ভারতের বোলাররা। যেখানে তিন স্পিনার জাদেজা, অক্ষর ও কুলদীপই দিয়েছেন ৮৭টি। 

বিপরীতে বাংলাদেশের বোলারা ১৪৪টি ডট বল আদায় করেছেন। দুই স্পিনার মিরাজ ও রিশাদ মিলেই দিয়েছেন ৫৯টি ডট বল। পাওয়ার প্লে পেরিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের স্পিনারদের সহজে খেলতে পারছিলেন না ভারতের ব্যাটাররা। মোহাম্মদ শামি মনে করেন, টাইগারদের কাছে তিন স্পিনার থাকলে ভারতের রান তাড়া করাটা আরও একটু কঠিন হতে পারতো। 

ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে শামি বলেন, ‘আমার মনে হয় আপনি শিশিরকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন, তবে খুব বেশি শিশির ছিল না। প্রায় একই ধরনের উইকেট ছিল। আমার কাছে একটাই পার্থক্য চোখে পড়েছে আমাদের কাছে তিন স্পিনার ছিল আর তাদের দুজন স্পিনার।’

আরো পড়ুন

ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে শামি

১১ জানুয়ারি ২৫

‘যদি তাদের কাছে তিনজন স্পিনার থাকতো তাহলে হয়ত রান তাড়া করাটা আমাদের একটু কঠিন হতে পারতো। ওইটা তাদের কম্বিনেশন, এটা আমাদের কম্বিনেশন। ফলাফল তো আপনাদের সামনেই। যাদের পরিকল্পনা ভালো হয়েছে, বাস্তবায়ন ভালো হয়েছে তারা জয় পেয়েছে।’

ভারতের তারকা পেসারের মতো আরও অনেকের ধারণা বাড়তি আরও একজন স্পিনার খেলাতে পারতো বাংলাদেশ। যদিও এমনটা মনে করেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছেন, বাড়তি স্পিনার নয় নতুন বলে পেসাররা উইকেট এনে দিতে পারলেই ম্যাচের পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘একাদশে অতিরিক্ত স্পিনার দরকার ছিল কি না... আমি তা মনে করি না। নতুন বলে উইকেট পেলে ম্যাচের পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত।’