promotional_ad

হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ দল, আইসিসি
৯ ওভারের মধ্যে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রায় ৫০ ওভার ব্যাটিং করবে এরপর বল হাতে লড়াই করবে ৪৭ ওভার পর্যন্ত সেটা হয়তো কেউ কল্পনাতেও ভাবেননি। বাংলাদেশের এই লড়াই সম্ভব হয়েছে তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলীর লড়াকু জুটির ফলে। জাকের না পারলেও হৃদয় তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। আর তাতে ভর করেই ২২৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

promotional_ad

মাঝারি এই লক্ষ্য ভারতকে খুব একটা চ্যালেঞ্জে ফেলবে না সেটা আগেই জানা ছিল। তবে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতকে অনায়াসে জয় পেতে দেননি। দেখেশুনে শুরু ভারতের ইনিংস শুরু করেছিলেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। মুস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম ওভারে বেশ ভুগেছেন রোহিত। যদিও পরের ওভারে দুটি বাউন্ডারি মেরে হাতখুলে খেলার ইঙ্গিত দেন তিনি।


আরো পড়ুন

আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে গিল-থিকশানা, পেছালেন বাবর-রশিদ

১৯ ফেব্রুয়ারি ২৫
শুভমান গিল ও মাহিশ থিকশানা

দ্বিতীয় বাউন্ডারিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১১ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন রোহিত। এই মাইলফলকে পৌঁছাতে ২৬১ ইনিংস লেগেছে রোহিতের। তার চেয়ে কম ইনিংসে ১১ হাজার রান করেছেন কেবল বিরাট কোহলি। তিনি মাত্র ২২২ ইনিংসে এই মাইলফলকে পৌঁছে ছিলেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে কাভারের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে রিশাদ হোসেনকে ক্যাচ দেন ৩৬ বলে ৪১ রান করে রোহিত। 


রোহিত ফেরার পর ভারতের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। তবে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন গিল ও বিরাট কোহলি। তবে কোহলিকে থিতু হতে দেননি লেগ স্পিনার রিশাদ। তার বলে স্কয়ারের ওপর দিয়ে কাট করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দেন ২২ রান করা কোহলি। এর আগেই অবশ্য ২০ ওভারের মধ্যে দলীয় একশ পূরণ হয় ভারতের। 


এরপর ভারতের ইনিংস প্রায় একাই টানেন গিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তিন ম্যাচেই পঞ্চাশের উপরে রান করেছেন ভারতীয় এই ওপেনার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও সেই পারফরম্যান্স ধরে রেখেছেন গিল। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৬৯ বলে পঞ্চাশ তুলে নেন তিনি। তাকে অবশ্য বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি শ্রেয়াস আইয়ার। ভারতীয় এই ব্যাটার মুস্তাফিজের স্লোয়ার কাটারে বড় শট খেলার নেশায় ক্যাচ দিয়েছেন মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ফলে ভারত ১৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে।


পাঁচ নম্বরে নেমে বেশি কিছু করতে পারেননি অক্ষর প্যাটেক। তাকে আউট করেছেন রিশাদ। এই স্পিনারকে ছক্কা মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে বোলারকেই ক্যাচ দিয়েছেন ১২ বলে ৮ রান করা অক্ষর। এরপর লোকেশ রাহুলকে ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন দেন জাকের আলী। তাসকিন আহমেদের গুড লেন্থের বলে রাহুল ক্যাচ দিয়েছিলেন ডিপ স্কয়ার লেগে। সেখানে সহজ ক্যাচ হাত ফসকান জাকের। এরপর আর কোনো ভুল করেনি ভারত। গিল ১২৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে ১০১ রানে অপরাজিত থেকে ভারতকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন। তাকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লোকেশ রাহুল। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে। এর ফলে হার দিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করতে হলো বাংলাদেশকে।


এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সেখান থেকে জাকের আলীকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস টেনে নেন তাওহীদ হৃদয়। ক্র্যাম্পের কারণে পেশিতে টান খেয়েছিলেন হৃদয়। এরপর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়েই ১১৮ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ ব্যাটার।



promotional_ad

তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৬ চার ও ২ ছক্কা। আরও আগে থেকেই ক্র্যাম্পের ধুঁকতে হচ্ছিল হৃদয়কে। তবে ৪৫তম ওভারের পর থেকে তার দাঁড়াতেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়েও। হৃদয়ের চোটের পর রানের চাকা সচল রাখতে গিয়ে জাকের আলীর উইকেট হারায় বাংলাদেশ।


আরো পড়ুন

কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিতে এক পা ভারতের

৬ ঘন্টা আগে
আইসিসি

শুরু থেকে একই গতিতে খেলে ৮৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকের। সব মিলিয়ে ১১৪ বলে ৬৮ রান করে আউট হন জাকের। তাতে শেষ হয় জাকের-হৃদয়ের ১৫৪ রানের জুটি। ওয়ানডেতে ষষ্ঠ উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। সবশেষ ওয়ানডেতেই গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পড়ার পড় ১৫০ রান যোগ করেছিলেন জাকের ও মাহমুদউল্লাহ।


এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ষষ্ঠ উইকেটে সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ডও এখন হৃদয়-জাকেরের। ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪২ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর ১৩১ রানের জুটি গড়েছিলেন দুই প্রোটিয়া ব্যাটার মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্প। অবশ্য জাকের-হৃদয়ের এই জুটি ভাঙতে পারত প্রথম বলেই। অক্ষর প্যাটেল টানা দুই বলে তানজিদ হাসান তামিম ও মুশফিকুর রহিমকে ফিরিয়ে জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা।


হ্যাটট্রিক বলে প্রথম স্লিপে জাকেরের সহজ ক্যাচ ছাড়েন রোহিত শর্মা। এরপর ব্যক্তিগত ২৩ রানে হৃদয় জীবন পেয়েছেন হার্দিকের ক্যাচ মিসে। এরপর ২৪ রানে জাকেরের স্টাম্পিং মিস করেন লোকেশ রাহুল। সব মিলিয়ে একাধিক জীবন পাওয়ার পর বাংলাদেশের দুই ব্যাটারই নিজেদের সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে।


জাকের-হৃদয়ের ব্যাটে বিপর্যয় কাটানোর পর রিশাদ হোসেন উইকেটে এসে ১২ বলে ১৮ রানের ক্যামিও খেলেন। এর মধ্যে অক্ষর প্যাটেলের এক ওভারেই রিশাদ একটি চার ও দুই ছক্কায় তোলেন ২০ রান। সেই ওভারে ৩ রান আসে হৃদয়ের ব্যাট থেকে। রিশাদকে ফিরিয়েছেন হার্শিত রানা। শেষদিকে তানজিম সাকিব শূন্য রানে ফিরলে বাংলাদেশের আড়াইশ পেরুনোর স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। তবে তাসকিনকে নিয়ে ১১৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম শতরান তুলে নেন হৃদয়। 


তাসকিন অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি। আউট হন ৩ রান করে। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে হৃদয় আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ২২৮ রানে। ভারতের হয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন ইনজুরি থেকে ফেরা মোহাম্মদ শামি। ৩টি উইকেট নিয়েছেন হার্শিত রানা। আর বাকি দুটি উইকেট গেছে অক্ষর প্যাটেলের ঝুলিতে।



সংক্ষিপ্ত স্কোর- 


বাংলাদেশ- ২২৮/৯ (৪৯.৪ ওভার) (তানজিদ ২৫, সৌম্য ০, শান্ত ০, মিরাজ ৫, তাওহীদ ১০০, মুশফিক ০, জাকের ৬৮, রিশাদ ১৮)


ভারত- ২৩১/৪ (৪৬.৩ ওভার) (রোহিত ৪১, কোহলি ২২, গিল ১০১*, রাহুল ৪১*; রিশাদ ২/৩৮)



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball