promotional_ad

পাকিস্তানের উৎসব মাটি করে জিতল নিউজিল্যান্ড

জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু নিউজিল্যান্ড
১৯৯৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। পরের ২৯ বছরে আইসিসির সবগুলো টুর্নামেন্ট হলেও আয়োজক হিসেবে কোথাও ছিল না পাকিস্তানের নাম। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মিলে ৫৬ আসর পেরিয়ে যাওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পাকিস্তানে ফিরেছে আইসিসির কোন টুর্নামেন্ট। প্রায় তিন দশক পর বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ পাওয়া পাকিস্তানের জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি তাই উৎসবের একটা দিন।

promotional_ad

সবশেষ কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহর ছেঁয়ে গেছে উৎসবের আমেজে। উদ্বোধনী দিনেই পাকিস্তানের খেলা থাকায় করাচির উৎসবটা আরও ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে। তবে পাকিস্তানের উৎসব মাটি করেছেন উইল ইয়াং, টম লাথাম, মিচেল স্যান্টনাররা। ২০১৭ সালের পর ফেরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন লাথাম ও ইয়াং। তাদের দুজনের সেঞ্চুরির সঙ্গে গ্লেন ফিলিপসের শেষের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ৩২০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। 


আরো পড়ুন

কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিতে এক পা ভারতের

৩ ঘন্টা আগে
আইসিসি

তিনশ ছাড়ানো রান তাড়ার ধাক্কাটা পাকিস্তান খেয়েছে প্রথম ইনিংসে ফিল্ডিং করার সময়ই। ফিল্ডিং করতে গিয়ে একেবারে শুরুতেই চোটে পড়েছিলেন ফখর জামান। বাঁহাতি ওপেনারের চোটে তাই বাবর আজমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে এসেছিলেন সাউদ সাকিল। তবে নতুন ওপেনিং জুটি কাজে দেয়নি পাকিস্তানকে। কাজে দেয়নি বাবর ও খুশদিল শাহর হাফ সেঞ্চুরিও। স্যান্টনার ও উইলিয়াম ও’রুর্কির দাপুটে বোলিংয়ে ২৬০ রানেই থামতে হয়েছে স্বাগতিকদের। 


৬০ রানের সহজ জয়ে নিউজিল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুটা হয়েছে দারুণভাবে। তবে কিউইদের বিপক্ষে হারের বৃত্ত থেকে বেরই হতে পারলেন না বাবর, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। কদিন আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচে হারা পাকিস্তানের এবারের হারটা তাই হ্যাটট্রিক। স্বাগতিক পাকিস্তানের পরের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে, শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের সঙ্গে। সেরা চারে যেতে চাইলে ভারত ও বাংলাদেশকে হারাতেই হবে পাকিস্তানকে।


করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ৩২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ফখরের চোটে ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে নামা সাকিল আউট হয়েছেন ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। ও’রুর্কির বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে ম্যাট হেনরিকে ক্যাচ দিয়েছেন ৬ রান করা এই ব্যাটার। তিনে নেমে সুবিধা করে উঠতে পারেননি রিজওয়ানও। ফিলিপসের অবিশ্বাস্য ক্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ককে ফিরতে হয় মাত্র ৩ রানে। ওপেনিংয়ে আসতে না পারলেও দলের প্রয়োজনে চারে নামেন ফখর। 



promotional_ad

বাঁহাতি ব্যাটারকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন বাবর। তবে ৩২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় যে ধরনের ব্যাটিং করা প্রয়োজন ছিল সেটা করতে পারেননি তারা। ব্যাটিংয়ের পুরোটা সময়ই ভুগেছেন ফখর। বাঁহাতি ব্যাটারের বিদায়েই ভাঙে বাবরের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি। ফখর ফেরার পর বাবর পাকিস্তানকে টেনেছেন সালমান আলী আঘাকে নিয়ে। সাবলীল ব্যাটিং করতে না পারা বাবর পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৮১ বল খেলে। আরেক ব্যাটার সালমানও হাঁটছিলেন হাফ সেঞ্চুরির পথেই। 


আরো পড়ুন

মাহমুদউল্লাহর ফিটনেস দেখে একাদশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ

৪ ঘন্টা আগে
অনুশীলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আইসিসি

যদিও মাত্র ২৮ বলে ৪২ রান করা ডানহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন নাথান স্মিথ। আরও একবার ব্যর্থ হয়েছে তৈয়্যব তাহির। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া বাবরকে থামতে হয় ৬৪ রানের ইনিংস খেলে। পরবর্তীতে দারুণ সব শটে পাকিস্তানকে টেনে নিতে নিচ্ছিলেন খুশদিল। তবে বাঁহাতি ওপেনারের ৪৯ বলের ৬৯ রানের ইনিংস পাকিস্তানের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। খুশদিল আউট হওয়ার পর হারিস রউফ, নাসিম শাহরা কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। স্বাগতিকদের ২৬০ রানে অল আউট করার দিনে ও’রুর্কি এবং স্যান্টনার তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। 


এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি নিউজিল্যান্ডও। ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছিল পাকিস্তান। ব্যক্তিগত ১০ রানে আবরার আহমেদের বলে আউট সাইড এজ হয়ে বোল্ড হন কনওয়ে। পরবর্তীতে মাত্র ১ রানে উইলিয়ামসনকে ফিরিয়েছেন নাসিম। তিনিও আউট সাইড এজ হয়ে ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে। শুরুর ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন ইয়াং ও ড্যারিল মিচেল।


তাদের দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৩৩ রান তোলেন। মিচেলকে ১০ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ইনজুরি থেকে ফেরা হারিস। ডানহাতি পেসারের শর্ট বলে মিড অনে ধরা পড়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদির হাতে। এরপর সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করেন ইয়াং ও লাথাম। দারুণ ব্যাটিংয়ে ১০৭ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি ইয়াং। তাদের দুজনের জুটি থেকে আসে ১১৮ রান। সেঞ্চুরির পর ইয়াং ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে কিউইদের রান বাড়ান লাথাম। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ফিলিপস।



লাথাম সেঞ্চুরি তোলেন ৯৫ বলে। এরপর আরও বেশি আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ৪৭তম ওভারে আফ্রিদিকে টানা দুই ছক্কা মেরে সেটাই জানান দেন ফিলিপস। পরের ওভারে হারিসের ওপরও চড়াও হন কিউই দুই ব্যাটার। ইনিংসের শেষ ওভারে হারিসের বলে স্কুপ করতে গিয়ে ফিলিপস ব্যক্তিগত ৬১ রানে ক্যাচ দেন শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে ফখর জামানের হাতে। অবশ্য ১১৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন লাথাম।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball