জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার ফাহিমের কাছে ‘পেইনফুল—বিব্রতকর’

ছবি: মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ক্রিকফ্রেঞ্জি

হারের পর একের পর এক ব্যাখ্যা দিলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট হার হজম করাটা সবার জন্য কঠিনই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গরীবের অ্যাশেজ’ স্বীকৃতি পাওয়া সিরিজে রেকর্ড, পরিসংখ্যান কিংবা শক্তিমত্তা—সবখানেই পিছিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। নিজেদের খেলা সবশেষ ১০ টেস্টের একটিতেও জয় নেই সফরকারীদের। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মতো দলের সঙ্গেও হেরেছে তারা।
গাজী ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে নিষিদ্ধ হৃদয়
৬ ঘন্টা আগে
অথচ ২০২৪ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে গিয়ে পাকিস্তানকে টানা দুই টেস্ট হারিয়ে আসা বাংলাদেশ হেরে বসল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এমন হার অভাবনীয় হলেও অধিনায়ক শান্ত জানালেন, তিনি অতিরিক্ত আপসেট নন। একটু পর এও বললেন, ‘এই ম্যাচ হেরে অনেক বেশি খারাপ লাগছে, জিনিসটা এরকম নয়।’ অথচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারকে পেইনফুল ও বিব্রতকর বলছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

মিরপুুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা কিছুটা পেইনফুল। কারণ আমরা আমাদের দলকে এখন যে জায়গায় দেখি বা দেখতে চাই—আমাদের দলের সক্ষমতা নিয়ে আমাদের যে ধারণা সেটার সাথে এই রেজাল্টটা একেবারে মেলে না। খুব দুঃখজনক—আমরা কিন্তু চেষ্টা করেছি এমন সব কন্ডিশনে খেলতে যে কন্ডিশনটা এমন না আমাদের বাড়তি সুবিধা দেবে। এমন কন্ডিশনে খেলতে চেয়েছি যে কন্ডিশনে খেললে সেটা আমাদের আইসিসি ইভেন্ট বলি, দেশের বাইরেও আমরা ভালো খেলতে পারব।’
পুরো ম্যাচটা আমি একা হারিয়ে দিয়েছি: শান্ত
২৩ এপ্রিল ২৫
‘সেরকম একটা কন্ডিশনে আমরা খেলতে চাই সেই চ্যালেঞ্জটা আমরা নিতে চাই। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আমরা যে খেলাটা খেলেছি—কন্ডিশন হয়ত আমাদের জন্য একেবারে সুখকর ছিল না। কিন্তু আমাদের দলের যে অভিজ্ঞতা, যে কোয়ালিটি খেলোয়াড় আছে তাদের থেকে আমি আরও বেশি প্রতিরোধ আশা করেছিলাম। আমরা সবাই আশা করেছিলাম। অবশ্যই, যে রেজাল্টা হয়েছে সেটা মোটেই সন্তোষজনক নয়—কিছুটা বিব্রতকরও বটে।’
২৮ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। সিলেটে হেরে হতাশ হলেও নাজমুল আবেদীনের আশা এখান থেকে ফিরে আসবে বাংলাদেশ। পরের টেস্টকে নিজেদের সামর্থ্য বোঝানোর পরীক্ষা হিসেবেও দেখছেন বিসিবির এই পরিচালক। পাশাপাশি এমন হারের পর খেলোয়াড়দের অনুধাবন করতে বলছেন যে তারা নিজেদের এবং জাতীয় দলকে কোথায় নিয়ে যেতে চান। নাজমুল আবেদীনের চাওয়া, এমন দিন যাতে আর না দেখতে হয়।
তিনি বলেন, ‘আশা করব আমরা এখান থেকে ফিরে আসব। কারণ আমাদেরকে ফিরে আসতেই হবে। এটা আমাদের জন্য একটা পরীক্ষা, আমাদের সামর্থ্য কেমন সেটা বোঝানো একটা ভালো সুযোগ। খেলোয়াড়দেরও অনুধাবন করতে হবে—তারা নিজেদের নিয়ে কী ভাবে, নিজেকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখে, জাতীয় দলকে তারা কোথায় নিয়ে যেতে চায়। দিনশেষে দলটা তাদের—তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আশা করি এটা একটা বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে, শুধু খেলোয়াড়দের জন্য না আমাদের সবার জন্যই। এবং এরকম দিন যাতে আমাদের আর দেখতে না হয়।’