অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়েকে ভিন্ন চোখে দেখতে চান না শান্ত

ছবি: আইসিসি

সবশেষ কয়েক বছরে টেস্ট ক্রিকেটে একটু একটু করে উন্নতি করছে বাংলাদেশ। যদিও কদিন আগে মুমিনুল হক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পেস বোলিং বাদে আলাদা করে দল হিসেবে নিজেদের উন্নতি দেখেন না। তবে গত বছর পাকিস্তান সফরে গিয়ে দুই টেস্টের সিরিজ জেতা, ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জেতা অবশ্য উন্নতিরই প্রতিচ্ছবি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য ইতোমধ্যে পূর্ণ শক্তির দলও ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
৯ বছর ও ১১ ম্যাচ পর আবাহনীকে হারাল মোহামেডান
১২ এপ্রিল ২৫
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু সেদিন জানিয়েছিলেন, কয়েক মাস পর টেস্ট খেলতে নামায় পরীক্ষা-নিরাক্ষা করার কথা ভাবেনি বাংলাদেশ। সবশেষ ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলার মাস চারেক পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে নামতে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। মাঝে বিপিএল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো সাদা বলের টুর্নামেন্ট খেলেছেন তারা। বর্তমানে ৫০ ওভারের ডিপিএলে নিয়মিত খেলছেন শান্তরা।
বিপরীতে পরিসংখ্যান কিংবা বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে। যদিও বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক জানিয়েছেন, বড় দলের সঙ্গে খেলার সময় যেমন চিন্তাভাবনা কিংবা চাপ থাকবে জিম্বাবুয়ের সঙ্গেও সেটাই থাকবে। সেই সঙ্গে কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলা যায় সেদিকেই মনোযোগ দিতে চান তিনি। শান্ত বলেন, ‘প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজেই চ্যালেঞ্জ থাকে। এখানেও অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। এর ভিন্ন কোনো চিন্তা থাকবে না।’

‘একটা বড় দলের সঙ্গে খেলার সময় যেই চিন্তাভাবনা বা চাপ থাকে, সেই চাপটাই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কীভাবে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাচটা শুরু করতে পারি। কোনো দলই ছোট নয়, আমি বারবারই বলছি। ক্রিকেটাররাও এমন কিছু চিন্তা করছে না। আমি আশা করব, সাধারণ মানুষ বা মিডিয়াও এভাবে দেখছে না যে ছোট দল বা বড় দল। আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, এটা গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারত সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বাংলাদেশ
১৪ মিনিট আগে
২০২১ সালে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেললেও জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এমনকি বাংলাদেশে যখন শেষবারের মতো টেস্ট খেলতে এসেছিলেন সেবার ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিলেন ক্রেইগ আরভিন-শন উইলিয়ামসরা। যদিও ২০১৮ সালে সিলেটে একটা টেস্ট জয়ের সুখস্মৃতি আছে সফরকারীদের। এদিকে গত বছর পাকিস্তানের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্ট জেতা বাংলাদেশ সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান। সেটা করতে গিয়ে সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া কিংবা জিম্বাবুয়েকে আলাদা করতে চান না শান্ত।
বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘গত বছর যদি টেস্ট ক্রিকেট দেখেন, আমাদের আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। আমার যতটুকু মনে পড়ে, ৪ (আসলে ৩টি) ম্যাচ জিতেছিলাম। এই বছর আরও ৬টা টেস্ট ম্যাচ আছে, গত বছরের চেয়ে কীভবে আমরা ভালো ফল আনতে পারি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আমাদের টেস্ট ক্রিকেট এগিয়ে যাবে। আমরা যেন ভাগাভাগি না করি যে, জিম্বাবুয়ে বা অস্ট্রেলিয়া বা সাউথ আফ্রিকা... প্রতিটি ম্যাচকে যেন একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে চিন্তা করি।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকেই দেশের মাটিতে ডিপিএল খেলছেন ক্রিকেটাররা। সুপার লিগের আগে শেষ রাউন্ডের ম্যাচ খেলেই সিলেটে অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দেবেন মুশফিকুর রহিম, শান্ত, মুমিনুলরা। সপ্তাহখানেকের ক্যাম্প শেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামবেন তারা। যদিও প্রশ্ন উঠছে লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটাররা সাদা বলের ক্রিকেটের মাঝে থাকায় যথেষ্ট প্রস্তুতি হবে কিনা। শান্তও মনে করেন, প্রস্তুতির জন্য আরও কয়েকটা দিন পাওয়া গেলে ভালো হতো। তবে বাংলাদেশের অধিনায়ক এও জানিয়েছেন, সিলেটে যতটুকু সময় পাওয়া যাবে সেটা তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।
শান্ত বলেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচ আমি বলবো না। আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা অনেকদিন পর টেস্ট ক্রিকেট খেলবে। অনুশীলনটা কখন কখনও মনে হয় আরও দুই-একটা দিন যদি আমরা বেশি পেতাম অবশ্যই ভালো হতো। কিন্তু পাশাপাশি আমি এটা বলব আবাহনী-মোহামেডান দর্শকদের অনেক চাওয়া-পাওয়া থাকে এই ম্যাচ নিয়ে। এই ম্যাচটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
‘খেলোয়াড়রা যারা সুযোগ পেয়েছে, দলে আছে তারা মানসিকভাবে কিন্তু ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে কিভাবে আমি খেলাটা খেলতে চাই। দুই দিক দিয়েই যদি চিন্তা করেন আবাহনী-মোহামেডান যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি টেস্ট ক্রিকেটও গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়রা দুইটা জিনিস সমন্বয় করেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। আশা করি সিলেটে আমরা যখন পৌঁছাবে প্রস্তুতির যতটা সময় পাবো যথেষ্ট হবে খেলোয়াড়দের জন্য।’