‘বোলিং ছাড়া টেস্টে আমরা খুব বেশি উন্নতি করিনি’

ছবি: গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন মুমিনুল হক, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বাকি একটি ম্যাচে ড্র করেছিলেন ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদরা। আগের দুই টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের তুলনায় ২০২৩-২৫ চক্রে পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে টানা দুই টেস্ট জয়ের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও এক ম্যাচ জেতেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। চার জয়ের বিপরীতে অবশ্য হেরেছে ৮ ম্যাচে। তবুও ৩১.২৫ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সাতে শেষ করেছে বাংলাদেশ।
গাজী ক্রিকেটার্সকে হারিয়ে আবাহনীর সাতে ছয়
২১ মার্চ ২৫
এমন পারফরম্যান্সের পরও টেস্টে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে এমন কথা মানতে নারাজ মুমিনুল। বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়কের চোখে সাদা পোশাকের ক্রিকেট উন্নতি কেবল পেসারদের মাঝে। সবশেষ কয়েক বছরে বল হাতে আলো ছড়াচ্ছেন তাসকিন, ইবাদত, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, সৈয়দ খালেদ আহমেদরা। একটা সময় শুধু একাদশে থাকলেও তারা এখন ম্যাচ জয়ে বড় অবদান রাখছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাওয়া একমাত্র টেস্ট জয়ই সেটার বড় উদাহরণ। এ ছাড়া পাকিস্তান সফরে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের আটকে দিয়ে বাংলাদেশের জয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন হাসান, নাহিদরা। দল হিসেবে নিজেদের উন্নতি না হলেও পেস ইউনিটের প্রশংসা করেছেন মুমিনুল। ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারলে র্যাঙ্কিংয়ে আরও উপরে থাকা যেতো, সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

বিকেএসপিতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মুমিনুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না আমরা খুব ভালো টেস্ট খেলেছি। আপনাদের নির্দিষ্ট কারও কাছে হয়ত মনে হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুশি হতাম সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে দেশের মাটিতে যদি সিরিজ জিততে পারতাম তাহলে হয়ত বলতাম পারতাম আমাদের পুরো চক্রটা ভালো হয়েছে।’
ভারত সিরিজের সূচি প্রকাশ করল বাংলাদেশ
৯ মিনিট আগে
তিনি আরও যোগ করেন, ‘১০টা টেস্ট ম্যাচ খেলে তার মধ্যে আমরা চারটা জিতেছি। অন্তত আরও দুইটা ম্যাচ জিতলে আমাদের র্যাঙ্কিং আরও উপরে থাকতো। আগের চক্রে আমরা ৮ (নবম) নম্বরে ছিলাম, এবারও ৮ (সপ্তম) নম্বরে ছিলাম। আমার কাছে মনে হয় না আমরা খুব বেশি উন্নতি করেছি। উন্নতির জায়গা হলো আমাদের বোলিংটা উন্নতি করেছে, এটাই।’
টেস্টে পেসারদের উন্নতি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারছেন না সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, মুমিনুল, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং ইউনিট। পাকিস্তানে ভালো করলেও ভারত, সাউথ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ব্যর্থ ছিলেন বেশিরভাগ ব্যাটারই। মুমিনুল মনে করেন, একটু ভালো স্কোর করতে পারলে পেস বোলিং দিয়ে ম্যাচ জেতাটা বাংলাদেশের জন্য সহজ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘সবাই (ব্যাটাররা) চেষ্টা করছে জিনিসটা উন্নতি করার জন্য। যেহেতু আমাদের পেস বোলিংটা উন্নতি হয়েছে আমরা জানি একটু ভালো স্কোর করতে পারলে আমাদের পক্ষে ম্যাচ জেতানো সহজ হয়ে যায়। আমার মনে হয় এটা আপনারা পাকিস্তানেও দেখেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজেও দেখেছেন। আমাদের নিজেদের মধ্যে কথা হচ্ছে, চেষ্টা করছি, প্রস্তুতি ভালো।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের লক্ষ্য নিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘অবশ্যই, ম্যাচ জেতা, সিরিজ জেতা এটাই আর কোনো কিছু না। আপনি যে দেশের সাথেই খেলেন, ভালো দল হোক, খারাপ দল হোক আপনি যখনই খেলবেন তখন লক্ষ্য থাকতে হবে আপনি ম্যাচ জেতার জন্য খেলবেন। এখানে আপনার ম্যাচ ড্র, সত্যি কথা বলতে ওইদিনগুলা এখন আর নাই। ওই মাইন্ডসেট এখন আর নাই।’