কিংবদন্তি সাকিবের না থাকা নিয়ে ‘পাবলিকলি খোলামেলা’ আলোচনায় লিপুর ‘আপত্তি’
ছবি: সাকিব আল হাসান (বামে) ও গাজী আশরাফ হোসেন লিপু (ডানে)
গত বছর পাকিস্তান সফর শেষ করে বাংলাদেশে না ফিরে সারের হয়ে একটি ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন সাকিব। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ডিভিশন-ওয়ানের ম্যাচে সারের হয়ে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও সবমিলিয়ে ম্যাচে ১৯৩ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন তারকা এই অলরাউন্ডার। তবে ম্যাচের পর সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন ম্যাচ অফিসিয়ালসরা। ইংল্যান্ডের কাউন্টি, দ্য হান্ড্রেড কিংবা ইসিবির অধীনে যেকোন ম্যাচ খেলার ছাড়পত্র পেতে তাকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে বলা হয়।
চেন্নাইয়ে ফেল করায় বোলিংয়ে নিষিদ্ধই থাকছেন সাকিব
১১ জানুয়ারি ২৫গত ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের অদূরের লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগের কাছে পরীক্ষা দেন সাকিব। যেখানে বেশ কয়েক ওভার বোলিং করেছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তবে ইংল্যান্ডে দেয়া সেই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। পরবর্তীতে গত ২১ ডিসেম্বর শ্রী রমাচন্দ্র সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্সে স্বতন্ত্র পুনর্মূল্যায়ন পরীক্ষা দেন।
চেন্নাইয়েও বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি সাকিব। বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা না ওঠায় আপাতত শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হবে তাকে। এমন অবস্থায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর খেলার সম্ভাবনা ছিল একেবারেই ক্ষীণ। শুধু ব্যাটার সাকিবের উপর আস্থা রাখতে পারেননি নির্বাচকরা। গাজী আশরাফ জানিয়েছেন, দলের সমন্বয়ের কথা ভেবে ব্যাটার সাকিবকে বিবেচনা করতে পারেননি তারা।
গাজী আশরাফ বলেন, ‘আপনারা সবাই অবহিত আছেন সাকিবের বৈধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যে সমস্যায় সে আছেন সেটার থেকে উত্তরের জন্য সে টেস্ট দিয়েছিলেন। টেস্টের ফলাফল খুবই দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেগেটিভ হওয়ার কারণে সে এখন ক্রিকেট শুধু একজন ব্যাটার হিসেবেই খেলতে পারবেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সাকিব আল হাসানের অবস্থানটা ছিল একজন ব্যাটার হিসেবে আমাদের কাছে। আমাদের এই দলে দলের সমন্বয় করতে গিয়ে শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে আমরা এই ১৫ জনে জায়গা দিতে পারিনি।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত
২৪ ডিসেম্বর ২৪২০২৩ সালের পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলেননি সাকিব। সবশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ৫০ ওভারের শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে ৬ ম্যাচে ৪৩.৬৬ গড় এবং ৯৯.২৪ স্ট্রাইক রেটে ২৬২ রান করেছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে খেলা শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছিল ম্যাচ জেতানো ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ বলে ৮২ রানের ইনিংস। লঙ্কানদের বিপক্ষে পাওয়া সেই জয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট পায় বাংলাদেশ।
এমন অবস্থায় ব্যাটার হিসেবে নিজেকে রাখার দাবি করতেই পারতেন সাকিব। তবে গাজী আশরাফ যেতে চান না খোলামেলা আলোচনায়। তিনি বলেন, ‘একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে নিয়ে কোন জায়গাটার জন্য তাকে দলে রাখা গেল না, এটা নিয়ে পাবলিকলি এত খোলামেলা আলোচনা করা খুব একটা ভালো কথা নয়। এই মুহূর্তে যারা দলে আছে, তারা এগিয়ে আছে। কারণ তারা আমাদের সঙ্গে আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে তারা খেলছে। তারা আস্থাশীল সেই কারণেই।’