পেসারদের জন্য বিসিবির ৭-৪-২ ফর্মুলা

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি, তানভিন তামিম

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সোমবার থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সেন্ট্রাল উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করেছেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমরা। মঙ্গলবারও সূচি মোতাবেক ব্যাটিং করেছেন তাঁরা। ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে স্পিনার তাইজুল ইসলামও বোলিং অনুশীলন চালাচ্ছেন।
ব্যাটসম্যান এবং স্পিনাররা চলতি সপ্তাহ থেকেই সেন্ট্রাল উইকেটে অনুশীলন শুরু করলেও পেস বোলারদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরও এক সপ্তাহ। বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ডেইলি সানকে জানিয়েছেন, লম্বা বিরতির পর পেসারদের ছন্দে ফিরতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে।
এ কারণেই চলতি সপ্তাহে সেন্ট্রাল উইকেটে বোলিং করছেন না মুস্তাফিজুর রহমান-শফিউল ইসলামরা। মিনহাজুল আবেদীন বলেন, 'চলতি সপ্তাহে পেস বোলাররা সেন্ট্রাল উইকেটে বোলিং করবে না, কারণ তাঁরা এখনও পুরো ছন্দে ফিরেনি।'

'পুরোপুরি ছন্দে না ফিরে বোলিং শুরু করলে চোটে পরতে হতে পারে তাঁদের। এই কারণেই পেসারদের সময় দেয়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে তাই আমরা পেসারদের নিয়ে কোন প্রকার ঝুঁকি নিতে চাইছি না' আরও যোগ করেন তিনি।
এদিকে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, পেসারদের শর্ট রান আপে ৪ থেকে ৫ ওভার পর্যন্ত বোলিং করতে বলা হয়েছে। এছাড়া তাঁদের জন্য ৭-৪-২ ফর্মুলা বেঁধে দিয়েছে বিসিবি।
এই ফর্মুলায় এক সপ্তাহে ৪দিন বোলিং করবেন পেসাররা। ২দিন বোলিং করার পর একদিন বিরতি দিয়ে আবার ২দিন বোলিং করবেন মুস্তাফিজ-আল আমিনরা। পেসারদের ইনজুরি থেকে দূরে রাখতেই এই ফর্মুলা নিয়ে এসেছে বিসিবি।
দেবাশীষ বলেন, 'পেসাররা যখন অনুশীলন শুরু করেছিল তখন ৫০ ভাগ দিয়ে বোলিং করেছিল। এখন সেটা আস্তে আস্তে ৭৫ ভাগে এসেছে। আগামী সপ্তাহে তাঁরা পুরদমে বোলিং শুরু করতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে লড়তে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ দলের। এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায় সপ্তাহখানেক দলগত অনুশীলন করবে দল। যা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর।
দলগত অনুশীলনের আগেও ব্যস্ত আছেন ক্রিকেটাররা। করোনাকালে গত ১৯ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম-মুমিনুল হকরা। একক অনুশীলনের পর্ব শেষে এখন চলছে ছোট ছোট গ্রুপের অনুশীলন।
করোনাকালে ক্রিকেটীয় কার্যক্রম শুরু এবং পরিচালনার জন্য সব ক্রিকেট বোর্ডকেই গাইডলাইন দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। আর সেই গাইডলাইন মেনেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।