‘তামিমরা বিত্তবান হলেও আমরা নই’

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
সাধারণ ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতির সময় তারকা খেলোয়াড়দের পিছু হটার ঘটনাও বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঘটেছে। তাই তারকাদের আর সেভাবে বিশ্বাস না করা সাধারণ ক্রিকেটাররা তবু গত অক্টোবরে একজোট হয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। যদিও ওই সময়ের ১৩ দফা দাবির কিছু শুধুই তারকাদের স্বার্থ রক্ষার দাবি ছিল। তবে সেই আন্দোলনের বছর না ঘুরতেই ঐক্যের সুর আবার কেটে যাওয়ার উপক্রম।
করোনা বিপর্যয়ে প্রায় চার মাস ক্রিকেট মাঠে নেই বলে অনেক খেলোয়াড়ের আয়-রোজগার বন্ধ। সঞ্চয়ের টাকাও শেষ হওয়ার পথে। এই অবস্থায় তামিম ইকবালের মতো তারকা ক্রিকেটারদের অনেকেই পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এমনকি অনুশীলনে ফিরতেও আগ্রহী নন। কিন্তু তাদের জন্য ক্রিকেট মাঠে ফিরতে দেরি হচ্ছে বলে আবার বিরক্ত সাধারণ ক্রিকেটাররা।

কেউ কেউ খুব ক্ষুদ্ধও। সেই ক্ষোভ ঝেড়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘আমরা তামিমদের মতো বিত্তবান নই। ওদের যে ব্যাংক ব্যালেন্স, তাতে সারা জীবন বসে খেলেও কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দ্রুত খেলা না ফিরলে আমাদের পথে বসতে হবে।
একেই আয় নেই, তারওপর জমা টাকা ভেঙেই চলছে এখন। একসময় এই টাকাও শেষ হবে। তখন চলবো কিভাবে?’ পাল্টা প্রশ্ন করা এই ক্রিকেটার ২০১৮-১৯ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব দল থেকেও পুরো টাকা বুঝে পাননি। এবার প্রথম রাউন্ডের খেলা হয়েই স্থগিত হওয়া প্রিমিয়ার লিগের দল থেকে পাননি একটি টাকাও। তবু সহায় হিসেবে স্ত্রীর চাকরিটা ছিল।
এই করোনার সময়ে সেটিও গেছে বলে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের ওই পরিচিত ও অভিজ্ঞ মুখ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মানে শীর্ষ পর্যায়েরই ক্রিকেটার তিনি। এদেরই এই অবস্থা হলে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগে খেলা ক্রিকেটারদের কী অবস্থা হতে পারে, সেটি অনুমেয়ই।
এই অবস্থায় তারকাদের সিংহভাগ ঘরে থাকাকেই নিরাপদ মনে করছেন। আর সাধারণ ক্রিকেটাররা চাইছেন জলদি মাঠে ফিরতে। এই পর্যায়ের ক্রিকেটারদের অবস্থা অজানা নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও। তারাও উপায় খুঁজছে ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর। সেই উপায় দ্রুতই খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আশা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই ক্রিকেটারের, ‘তাড়াতাড়ি ক্রিকেটটা মাঠে ফেরান। না হলে আমার মতো অনেক ক্রিকেটারই শেষ হয়ে যাবে।’