৮০ থেকে ৫০-এ ঢুকেই ধাক্কা খেলেন রাহী

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার খুব বেশি দিনের নয় তবু অল্প সময়েই টেস্ট ক্রিকেটে নিজের জায়গা পাকা করতে পেরেছেন আবু জায়েদ রাহী। ৯ টেস্ট খেলে ২৪ উইকেট নেওয়ার পথে উন্নতির ছাপও রেখেছেন সিলেট থেকে আসা এই পেস বোলার।
নিজের অগ্রগতিতে তুষ্ট নন বলে এখানেই থেমে থাকতে চাননি রাহী। বরং নিজেকে আরো এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য স্থির করে চালিয়ে যাচ্ছিলেন কঠোর পরিশ্রমও। বিশ্বাস ছিল এই বছরই নিজেকে আরো ওপরে নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু রাহীর নিজের স্বপ্ন, লক্ষ্য এবং বিশ্বাস বড় এক ধাক্কাই খেল। যাতে আপাতত নিশ্চলই হয়ে আছেন মূলত সুইংয়ের ওপর নির্ভর এই পেস বোলার।

অথচ উন্নতির ধারায় দারুণভাবেই ছিলেন করোনার কারণে স্থগিত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের বোলার। আইসিসির টেস্ট বোলারদের রেটিংয়ে বেশ লম্বা লম্বা পদক্ষেপ ফেলেই এগোচ্ছিলেন। একসময় অনেক পেছনেই ছিলেন।
রেটিংয়ে অবস্থান ছিল ৮০-র ঘরে। সেখান থেকে খুব অল্প সময়েই উঠে আসেন সেরা ৫০-এ। তখনই নির্ধারণ করে ফেলেন নিজের স্বপ্নের নতুন সীমা। তার স্বপ্নের পালে হাওয়া দিচ্ছিল ২০২০ সালে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ১০টি টেস্ট। কিন্তু স্থগিত হতে হতে এর ৮টিই এখন এই ক্যালেন্ডার ইয়ার থেকে হারিয়ে গেছে।
করোনা পরিস্থিতির জন্য কিছু করার নেই বলে মানছেনও। তবে এটিকে নিজের জন্য অনেক বড় ধাক্কাও বলছেন, 'খারাপ লাগছে খুব। কিন্তু পরিস্থিতিও হাতে নেই। পেস বোলারদের মধ্যে একটু এগোনোর ইচ্ছে ছিল। র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমে ৮০-র মধ্যে ছিলাম। এরপর ভালো করেছি বলে চলে এসেছি ৫০-র মধ্যেও। আমার আগে কারা কারা আছে, সেই নামগুলো দেখছিলাম। লক্ষ্য ছিল আরো এগিয়ে নেব নিজেকে। সেজন্য এই বছর ১০টি টেস্টও ছিল। ম্যাচগুলো হলে আরেকটু চেষ্টা করতাম এগিয়ে যাওয়ার, আরো ওপরে ওঠার। আমি ভালো শেপেও ছিলাম। এর মধ্যেই করোনার ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে গেল সব। সেই এক জায়গাতেই আটকে থাকতে হচ্ছে। এটি দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কী? যদিও কিছু করারও নেই। এটি মেনে নিতেই হবে।'