সুজনের কারণেই আজকের মাহমুদউল্লাহ

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেই নির্বাচকদের রাডারে আসেন তিনি। এই পুরো সময়টায় তাঁকে দারুণ সমর্থন দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।
২০০২ সালে সর্বপ্রথম সুজনের অধীনে খেলার সুযোগ পান মাহমুদউল্লাহ। সেসময়ের টগবগে তরুণ কর্পোরেট ক্রিকেট লিগে গ্রামীণ ফোনের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। মূলত সুজনের সুপারিশেই দলে নেয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে।
সম্প্রতি ক্রিকফ্রেঞ্জির লকডাউন লাইভ সেশনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি দলপতি। নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সুজনের অবদান নিয়ে মাহমুদউল্লাহকে প্রশ্ন করেন অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক কাজী সাবির।

তিনি রিয়াদের কাছে জানতে চান, 'আপনার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে খালেদ মাহমুদ সুজনের একটা অবদান আছে। একদিন সুজন ভাইয়ের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমি বললাম যে রিয়াদ হঠাৎ করে এত ছক্কা মারছে। উনি বলেছিলেন তোমরা তো রিয়াদকে তরুণ বয়সে দেখোনি। ও কেন এত মারে না আমি এটা বুঝি না। সুজন ভাইয়ের অধিনায়কত্বে খেলেছিলেন এর আগে। আপনি অনেক সম্মানিত তাঁর সঙ্গে খেলতে পেরে বলেছিলেন। তাঁর সম্পর্কে কিছু বলুন।'
এরপরেই রিয়াদ ব্যক্ত করেন সুজনের অবদানের কথা। তিনি বলেন, 'সুজন ভাই অনেক বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছেন আমার জীবনে। আমার মনে হয় কখনো ওনাকে সেভাবে বলা হয়নি। সুজন ভাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তাঁকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার মনে আছে আমি প্রথম সুজন ভাইয়ের অধীনে খেলি সম্ভবত ২০০২ সালে। সেটা ছিল কর্পোরেট ক্রিকেট লিগে। তখন আমি অনূর্ধ্ব ১৯ দলের সদস্য। আমি গ্রামীণ ফোন দলের হয়ে খেলি।'
কর্পোরেট লিগের সেই দলটিতে সুজন ছাড়াও অনেক তারকা ক্রিকেটার ছিলেন। তাই মাহমুদউল্লাহর মতো উঠতি তরুণের জন্য সেখানে জায়গা পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। কিন্তু খালেদ মাহমুদের কারণেই সেমিফাইনালের দলে জায়গা হয় রিয়াদের। লাইভ আড্ডায় সেসময়ের স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার বলেন, 'সেসময় সুজন ভাই জাতীয় দলের বড় তারকা। আমার দলে তিনি ছাড়াও অনেক তারকারা ছিলেন। তাই আমি সুযোগ পাবো কিনা সেই সন্দেহে ছিলাম। কিন্তু তিনি আমার উপরে বিশ্বাস রেখেছিলেন এবং সেমিফাইনালে আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ আমরা ম্যাচটি জিতি।'
সুজনের অধিনায়কত্বে এরপর আরো কয়েকটি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে মাহমুদউল্লাহর। তাঁর কাছ থেকে শিক্ষাও নিয়েছেন অনেক। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের প্রতি তাই বেশ কৃতজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও সুজনের অবদান কখনো ভুলবেন না তিনি।
মাহমুদউল্লাহর ভাষায়, 'এরপর থেকে সুজন ভাই আমাকে গাইড করেছেন ভালোভাবে। আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তাঁর অধিনায়কত্বে খেলে অনেক কিছু জেনেছি, কাছ থেকে দেখেছি। যদি আমার ক্রিকেটে কোনো প্রভাব থেকে থাকে তাহলে সেটা সুজন ভাই তৈরি করেছে। এটা বলতে আমি দ্বিধা বোধ করবো না কখনোই। এর জন্য সবসময় আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। এখন পর্যন্ত আমি তাঁকে অনেক সম্মান করি। আমি যতদিন ক্রিকেট খেলবো কিংবা খেলা ছেড়ে দিলেও।'