ডমিঙ্গো নন, তেল দেওয়া হয় শুধু ভেট্টোরিকেই!

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ||
পদ মর্যাদায়ই যা একটু এগিয়ে রাসেল ডমিঙ্গো। না হলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকান হেড কোচের চেয়ে আর সব কিছুতেই বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে স্পিন বোলিং কনসালটেন্ট ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। সেটি কী পারিশ্রমিকে, কী সুযোগ-সুবিধায়। এমনকি তেলও দেওয়া হয় শুধু নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক ও বাহাতি স্পিনারকেই!
শিরোনামের পর এটুকু পড়ে চমকে গিয়েছেন নিশ্চয়ই। চমকে যাওয়ারই কথা। সত্যিই তাই। ডমিঙ্গো নন, তেল পেয়ে থাকেন শুধু ভেট্টোরিই। একটু খুলেই বলা যাক। ডমিঙ্গো বা বাংলাদেশ দলে তার সহযোগী বিদেশি কোচ যারা, তাদের কাউকেই ফুলটাইম গাড়ী দেয় না বিসিবি।

ঢাকায় তারা যেখানে থাকেন, সেখান থেকে মাঠে 'পিক আপ অ্যান্ড ড্রপ অফ'-এর কথাই শুধু উল্লেখিত আছে তাদের চুক্তিতে। ফাস্ট বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, ব্যাটিং কনসালটেন্ট নেইল ম্যাকেন্জি থেকে শুরু করে ফিজিও- ট্রেনার, সবাইকেই বিসিবির গাড়ী হোটেল থেকে তুলে মাঠে নামিয়ে দেয় এবং মাঠ থেকে হোটেলে দিয়ে আসে।
ব্যতিক্রম শুধু ভেট্টোরিই। তার জন্য গাড়ী ও ড্রাইভার সার্বক্ষণিক। এর সঙ্গে চুক্তিতে ধরা আছে গাড়ীর ফুয়েল কস্টও অর্থাৎ তেল খরচ। এই তেল (জ্বালানি) দেওয়া হয় শুধু ভেট্টোরিকেই। যা ডমিঙ্গোরা পান না।
ডমিঙ্গোর সঙ্গে ভেট্টোরির পারিশ্রমিকের ফারাকও আকাশ-পাতাল। মাসে সাড়ে ১২ হাজার ডলার বেতন পান ডমিঙ্গো। আর ভেট্টোরি ট্যাক্স কাটার পর একদিনেই রোজগার করেন আড়াই হাজার ডলার। মানে তার পাঁচ দিনের আয়ই ডমিঙ্গোর পুরো মাসের সমান।