নেতৃত্বে থাকছেন তো সাকিব?
ছবি: ছবিঃ রতন গোমেজ

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে হারের হতাশা থেকে এখনো বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ক্ষত শুকানোর জন্য খুব বেশি সময়টাও অবশ্য পাচ্ছে না তারা। কারণ কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যেখানে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন সাকিব আল হাসান।
নেতৃত্বের ভার তাঁর কাঁধে পড়লেও বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান খুব বেশী আগ্রহ নন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। টেস্ট শেষে তিনি নিজেই বলেছিলেন অধিনায়কত্ব না করতে হলেই বরং নিজের জন্য ভালো হবে বিষয়টি।
শুধু টেস্ট শেষেই নয়, ম্যাচটি শুরুর কয়েকদিন আগেও একই ইঙ্গিত দেন সাকিব। জানান, টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নন তিনি। নেতৃত্ব দিতে না হলে নিজের খেলার প্রতি মনোযোগী হতে পারবেন বলে জানান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের এমন বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠতেই পারে টি-টোয়েন্টি সিরিজই কি অধিনায়ক হিসেবে তাঁর শেষ? কারণ বিসিবির সঙ্গে কিছু ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার।
আলোচনার পর কি সাকিবকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হবে অধিনায়কত্ব করতে নাকি নতুন কারো ওপর আস্থা রাখতে চাইবে বোর্ড? এই ব্যাপারগুলো পরিষ্কার করার জন্যই বুধবার সাকিবের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
অধিনায়ক হিসেবে দেশের হয়ে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ৮১টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব, যেখানে রান করেছেন ২৮২৩। রয়েছে ৪টি সেঞ্চুরি এবং ১৭টি হাফ সেঞ্চুরি। আর উইকেট নিয়েছেন মোট ১৫২টি।
এছাড়াও খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব খেলেছেন ২৫৩টি ম্যাচ যেখানে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৪০৬টি। আর তিন ফরম্যাট মিলিয়ে রান করেছেন ৮৮৩৩। যেখানে ১০টি সেঞ্চুরি এবং ৬২টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।
পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে অধিনায়কত্বের চাপ না থাকলে দলকে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে পারেন সাকিব। এই কারণেই হয়তো দেশের স্বার্থে অধিনায়কত্বের চাপটা নিজের কাঁধে নিতে চাইছেন না ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৬০৬ রান এবং ১১ উইকেট শিকার করা এই অলরাউন্ডার।
২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়ার পর অধিনায়কত্ব পান সাকিব। একই বছর মুশফিকুর রহিমকে সরিয়ে বাংলাদেশ টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক করা হয় তাঁকে।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে প্রথম অধিনায়কত্ব করেন তিনি। ওই টেস্টেই জয় পায় বাংলাদেশ। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের ব্যর্থতায় এবং বিশ্বকাপে দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে নেতৃত্ব হারান সাকিব। ৬ বছর পর ফের দ্বিতীয় দফায় অধিনায়ক হন তিনি।