ভালো দেশি কোচ না থাকলে খেলোয়াড় বের হতো নাঃ আকরাম

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে বরাবরই বিদেশিদের প্রতি গুরুত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিদেশি কোচরাই সাফল্যের ধারক বলে একটি প্রথা প্রচলিত আছে দেশের ক্রিকেটে। আর সেই কারণে সেই গর্ডন গ্রিনিজ থেকে শুরু করে একের পর এক বিদেশি কোচ নিয়োগ দিয়ে এসেছে বিসিবি।
অবশ্য প্রতিটি বিদেশি কোচই কাজ করেছেন তৈরি করা দলকে নিয়ে। সর্বশেষ ইংলিশম্যান স্টিভ রোডসও কমপ্লিট প্যাকেজের একটি দল নিয়ে কাজ করেছেন। সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মাশরাফিদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া দলটিকে হাতে কলমে শেখানোর তেমন কিছু ছিল না।

অর্থাৎ, গড়ে তোলা ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করেন বিদেশি কোচরা। আর এই ক্রিকেটার গড়ে তোলার কাজটি করে আসছেন স্থানীয় কোচরা। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সারোয়ার ইমরান কিংবা নাজমুল আবেদিন ফাহিমদের মতো অভিজ্ঞ কোচদের হাত ধরেই তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এমনই মনে করেন। স্থানীয় কোচরা ভালো কাজ না করলে তামিম, সাকিবদের মতো ক্রিকেটার উঠে আসতো না বলেই বিশ্বাস বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের।
স্থানীয় এবং বিদেশি কোচের পার্থক্যের প্রশ্নে আকরাম বলেছেন, ‘পার্থক্য বলতে বাংলাদেশের কোচ যারা আছে তারা কিন্তু ভালো না হলে বাংলাদেশের ভালো খেলোয়াড় বের হতো না। জাতীয় দলে যেটা হয়, যেহেতু আমরা বিদেশি দলের সঙ্গে খেলি আমাদের স্ট্যান্ডার্ডটি অনেক হাই। তাই আমরা সব সময় যাদের অভিজ্ঞতা আছে তাদেরকে নিতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু কাউকে ছোট, বড় করছি না। তবে অভিজ্ঞতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যাদেরকে খুঁজছি, যাদের অভিজ্ঞতা আছে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুক্রবার (২৬ জুলাই) থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খালেদ মাহমুদ সুজন। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ এই কোচের প্রতি যথেষ্ট আস্থা রয়েছে আকরামের। জেমি সিডন্সের আমলেও সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুজন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও কোচিং করিয়েছেন তিনি।
সুজন প্রসঙ্গে আকরামের ভাষ্য, ‘সুজন কিন্তু জেমি সিডন্সের সময় সহকারী কোচ ছিল। তার অভিজ্ঞতা ভালো এবং ব্যাকগ্রাউন্ডও অনেক ভালো। কোচিং অভিজ্ঞতার দিক থেকে যদি কিছু গ্যাপ থাকে তাহলে আমরা তার কাছে যাই। এর মধ্যে বাবুল ‘এ’ দলের সঙ্গে আছে। এ ছাড়া অনেকগুলো কোচ আছে যারা ভালো করছে। এখন যেহেতু সবার মধ্যে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বোর্ডের কাছে মনে হয়েছে অভিজ্ঞ সুজন ভালো হবে তাই তাকে বাছাই করেছি।’