তামিম-সৌম্যর ব্যাটে দলীয় শতকে বাংলাদেশ

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
উইন্ডিজঃ ২৬১/৯ (৫০ ওভার)
(হোপ ১০৯, চেজ ৫১; মাশরাফি ৩/৪৯)
বাংলাদেশঃ ১০০/০ (১৯ ওভার)
(তামিম ৩৭, সৌম্য ৫২)
ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রানে থেমেছে উইন্ডিজের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দলীয় শতকঃ
১৮.৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় শতক পূরণ করে বাংলাদেশ।
সৌম্যর অর্ধশতকঃ

দেখেশুনে খেলে ৪৮ বলে দারুণ এক অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন। ১ ছক্কা ও ৭ চারে এই রান করেছেন তিনি।
তামিম-সৌম্যর ব্যাটে বাংলাদেশের দারুণ শুরুঃ
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেন তামিম ও সৌম্য সরকার। শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলেন তাঁরা। এই দুজনের ব্যাটেই পাওয়ার প্লে'র ১০ ওভারে ৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংস বিবরণঃ
এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান নেন উইন্ডিজ দলপতি জ্যাসন হোল্ডার। ব্যাটিংয়ে নেমে উইন্ডিজকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার শেই হোপ ও সুনীল অ্যামব্রিস।
দুজনে যোগ করেছেন ৮৯ রান। ৫০ বলে ৩৮ রান করা সুনীল অ্যামব্রিসকে মাহমুদুল্লাহর দুর্দান্ত ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর পরের ওভারেই ড্যারেন ব্রাভোকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন সাকিব।
তিনি ৪ বলে মাত্র ১ রান করে আউট হয়েছেন। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ রান যোগ করেছেন রস্টন চেজ ও শেই হোপ। জুটি গড়ার পথে মাত্র ১২৬ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন হোপ।
এই পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই উইন্ডিজের হাতে ছিল। ৪০ ওভারে ২ উইকেটে ১৯৭ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে ৬৪ রান।
পিটার চেজকে ব্যক্তিগত ৫১ রানে মুস্তাফিজের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন মাশরাফি। এর ফলে শত রানের জুটি ভাঙে হোপ-চেজের। এরপর টাইগার দলপতির বলে এক্সট্রা কভারে মিঠুনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সেঞ্চুরিয়ান শেই হোপ।
তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৩২ বলে ১০৯ রানের ইনিংস। এই ইনিংস গড়ার পথে তিনি ভেঙে দিয়েছেন ভিভ রিচার্ডসের একটি রেকর্ড। কিংবদন্তি রিচার্ডসকে ছাড়িয়ে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সবচেয়ে দ্রুততম ২০০০ রানের রেকর্ডটি এখন হোপের।
২০০০ রান করতে রিচার্ডসের লেগেছিল ৪৮ ইনিংস, হোপের লাগল সেখানে ৪৭টি ইনিংস। হোপের ফেরার পর ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জ্যাসন হোল্ডারকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়েছেন মাশিরাফি। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৪ রান।
অভিষিক্ত শেন ডওরিচকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি সাইফুদ্দিন। ৬ রান করা ডওরিচকে তিনি ডিপ স্কয়ার লেগে সৌম্যর ক্যাচ বানিয়ে আউট করেছেন। ১১ রান করা জোনাথন কার্টারকে সাকিব দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজের বলে।
১ রান করা কেমার রোচকে বোল্ড করে আউট করেছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। শেষ দিকে রান তুলতে থাকা অ্যাশলি নার্স ১৯ রান করে মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
শেনন গ্যাব্রিয়েল ০, ও শেলডন কটরেল ৪ রান করে অপরাজিত থেকে উইন্ডিজকে ২৬১ রানে পৌঁছে দিয়েছেন।
বাংলাদেশ একাদশঃ
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিথুন, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান।
উইন্ডিজ একাদশঃ
শেন ডওরিচ, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, রস্টন চেজ, জনাথন কার্টার, সুনিল এম্ব্রিস, জেসন হোল্ডার (অধিনায়ক),,শেল্ডন কর্টরেল, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, কেমার রোচ, সুনিল অ্যামব্রিস, ফাবিয়ান অ্যালেন, অ্যাশলে নার্স,।