কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন সৌম্য
ছবি: ছবি - ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আর দুটি ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁচা মরার ম্যাচ। স্কোয়াডে নতুন করে যোগ দিতে যাওয়া ওপেনার সৌম্য সরকার বাকি দুই ম্যাচকে নক আউট টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল হিসেবে দেখতে চাইছেন।
পর পর দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানের হারের ফলে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচে বাড়তি চাপ নিয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। বাড়ন্ত চাপ সামলাতে হলে চাই মানসিকতার পরিবর্তন। নিজেদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে বলছেন তিনি।

'অবশ্যই এখনো সুযোগ আছে, সুযোগ যে নেই তা নয়। টুর্নামেন্টে নক আউট পর্ব থাকে তখন কিন্তু হারলেই বাদ হতে হয়, এখন আমাদের সেভাবেই ভাবতে হবে। ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করলেই ভাল। আমার মনে হয় আমাদের আগামী ম্যাচকে কোয়ার্টার ফাইনাল ও পরের ম্যাচকে সেমিফাইনাল হিসেবে ধরতে হবে।
'ওইভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে আমাদের জন্য ভাল হবে। আফগানিস্তান এরপর পাকিস্তান, এভাবে চিন্তা করলে আমরা নিজেদের মধ্যেই চাপ সৃষ্টি করব। তাই প্রথমে আফগানিস্তান ম্যাচ, এরপর পাকিস্তান... এভাবে চিন্তা করলে চাপ কম থাকবে,' আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।
সৌম্য সরকার গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই বাঁহাতি ওপেনার খুলনা স্টেডিয়ামে চার দিনের ম্যাচ খেলছিলেন। সেখান থেকে আচমকা জাতীয় দলের ডাক পড়ে তাঁর।
আরব আমিরাতের কঠিন কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ বিবেচনায় বলা চলে, সৌম্যর জন্য কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে। আর শনিবার সফর করে রবিবার ম্যাচ খেলাও সহজ নয়। একরকম কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়েই বড় মঞ্চে খেলতে যেতে হচ্ছে সৌম্যকে।
'আবহাওয়া চাইলে পরিবর্তন করা যায় না। এই আবহাওয়ায় খেলতে হবে। সেটা এখন না চিন্তা করাই ভাল। আর বোলারদের নিয়ে একটা গেইম প্ল্যান তো থাকবেই। কিভাবে কি করতে হবে এইসব নিয়ে কথা বলতে হবে। যতটুকু সময় পাই এর মধ্যে বিষয় গুলো আমার মধ্যে নিয়ে কাজ করতে পারাটা একটা চ্যালেঞ্জ হবে। চেষ্টা করব অল্প সময়ের মধ্যে একটা পরিকল্পনা করার।'