প্রেরণার উৎস হোক ২০১২ এশিয়া কাপ

ছবি: বাংলাদেশ দল

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
২০১২ সালের এশিয়া কাপের দুঃসহ স্মৃতি আজও হয়ত ভুলতে পারেনি বাংলাদেশ। সেবার পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ফাইনালে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল টাইগারদের। সেই দলটির সদস্য ছিলেন জাতীয় দল থেকে বর্তমানে ব্রাত্য জহুরুল ইসলাম।
এবার আবারও যখন দুয়ারে এশিয়া কাপ, তখন সেই জহুরুলের সাথেই কথা বলেছে দেশের শীর্ষ বাংলা দৈনিক কালের কন্ঠ। ২০১২ সালের সেই স্মৃতির পাতা হাতড়ে জহুরুল জানিয়েছেন সেবারের টুর্নামেন্টটিই টাইগারদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে। জহুরুল বলেন,
'২০১২ সালের সাফল্যে অনেকখানি অনুপ্রাণিত হতে পারে বাংলাদেশ। সেই টুর্নামেন্টে আমরা ভারতকে হারিয়েছি; শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছি। ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছি মোটে ২ রানে।

'মনে রাখতে হবে, এখন যেমন বাংলাদেশ বড় দলগুলোকে নিয়মিত হারায়, তখন অবস্থা তেমন ছিল না। ২০১২ এশিয়া কাপ তাই আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। ওই দলের অনেকেই তো এখনো রয়েছে। ওরা সেই স্মৃতিচারণ করে বাকিদের উজ্জীবিত করছে নিশ্চয়ই।'
বাংলাদেশ দলের শক্তির জায়গা নিয়েও কথা বলেন এই ওপেনার। তাঁর মতে সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিক এবং মাহমুদুল্লাহদের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানেরা থাকায় শক্তিমত্তার দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। তাঁর ভাষায়,
'আমাদের পাঁচজন ভীষণ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে। ওরা পারফর্মও করছে দারুণ। এটি বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবে। তরুণরা নির্ভার হয়ে খেলে পারফর্ম করার সুযোগ পাবে।'
তবে টাইগারদের দলে যে একজন দক্ষ ফিনিশারের অভাব রয়েছে সেটিও স্বীকার করেছেন জহুরুল। অবশ্য আরিফুল কিংবা মোসাদ্দেক ব্যাট হাতে প্রমাণ দিতে পারলে পূর্ণাঙ্গ একটি ভারসাম্যপূর্ণ দলে পরিণত হবে মাশরাফিরা উল্লেখ করে জহুরুল বলেন,
'আর দলের ব্যাটিং-বোলিং সব মিলিয়ে বললে কেবল ছয়-সাত নম্বরে ফিনিশারের অভাব চোখে পড়ছে। যদি আরিফুল বা মোসাদ্দেক এখানটায় ঝলসে উঠতে পারে, তাহলে খুব ভারসাম্যপূর্ণ দল বাংলাদেশ।'