লেগিদের 'রোল মডেলের' খোঁজে স্টিভ রোডস

ছবি: লিখন ও তানবির

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
দীর্ঘ দিন থেকেই একজন রিস্ট স্পিনারের খোঁজে হাপিত্যেশ করে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আমলে তবুও তানবির হায়দার এবং জুবায়ের হোসেন লিখনের মতো দুইজন রিস্ট স্পিনারের দেখা পেয়েছিল দেশের ক্রিকেট। কিন্তু এরপরেই যেন ধীরে ধীরে কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছেন তাঁরা।
২০১৫ সালে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন লিখন। এরপর আর জায়গা হয়নি তাঁর ওয়ানডে দলে। লিখনের মতোই তাথৈবচ অবস্থা ২৬ বছর বয়সী তানবিরের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ওয়ানডে খেলার পর আর কখনোই দেশের হয়ে খেলার জন্য ডাক পাননি তিনি।
অথচ এই লিখন কিংবা তানবিরের মাঝেই সম্ভাবনা দেখেছিলেন অনেক দেশের অনেক ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অনেকের মতে তাদেরকে কিছুটা ঘষামাজা করলে রিস্ট স্পিনারের অভাব কিছুটা ঘুচতে পারতো দলের। কিন্তু সেটি আর হয়ে ওঠেনি হাথুরুর আমল পর্যন্ত।

কিন্তু বাংলাদেশের ঠিক উল্টো অবস্থাই যেন আফগানিস্তানের ক্ষেত্রে। এক আফগান লেগি রশিদ খান বলতে গেলে নিজেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিশ্ব ক্রিকেটে। তাঁর বোলিং ঘূর্ণির দাপটে রীতিমত থরহরি কম্পমান অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। অথচ আফগানদের থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোন রিস্ট স্পিনার পাচ্ছে না।
এই ব্যাপারটি যে শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং চিন্তার একটি বিষয় সেটি টাইগারদের নতুন কোচ স্টিভ রোডসও বুঝতে পারছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর এই বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে তাঁকেও। এবার তাই পুরো দেশজুড়ে রিস্ট স্পিনারের খোঁজ লাগানোর মিশনের কথা জানিয়েছেন এই ইংলিশম্যান। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন,
'বাংলাদেশে খুব বেশি রিস্ট স্পিনার নেই। এটা আমাদেরকে অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে। আমরা পুরো দেশজুড়ে অনুসন্ধান চালাতে পারি রিস্ট স্পিনারের খোঁজে। এটি তরুণ রিস্ট স্পিনারদের জন্য একটি সুযোগ হতে পারে অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। আমাদের একজন রিস্ট স্পিনার আসলেই অনেক বেশি প্রয়োজন। আমাদের ফিঙ্গার স্পিনার আছে সাকিব এবং মেহেদির মতো। এখন আমরা যত দ্রুত সম্ভব রিস্ট স্পিনারকে চাচ্ছি রোল মডেল হিসেবে। আমরা তরুণদের মধ্য থেকে রিস্ট স্পিনার খুঁজতে পারি, এরপর রাস্তা থেকেও খোঁজা শুরু করতে পারি।'
এদিকে কোচের কথায় কিছুটা আশা খুঁজে পেতে পারেন লিখন এবং তানবির। কেননা এই ইংলিশম্যান তাদের নিয়ে কাজ করার ব্যাপারেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। এশিয়া কাপের দলে না থাকলেও নেটে বল করার জন্য ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে লিখন এবং তানবিরকে। তাদের পাশাপাশি আনা হয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ দলের রিশাদকেও। তাদের নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে রোডস বলেছেন,
'আমরা লিখন এবং তানবিরকে নেটে নিয়ে এসেছি। অনূর্ধ্ব ১৯ দলের রিশাদকেও এনেছি। আমরা কিছু লেগ স্পিনারকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছি যেন আমাদের ব্যাটসম্যানেরা অনুশীলন করতে পারে।'