কেন ছয় নম্বরে নেমেছিলেন মাশরাফি?

ছবি: মাশরাফি

বাংলাদেশের ইনিংসের ৩৯তম ওভারের খেলা চলছিলো তখন। ক্যারিবিয়ান স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুর করা পঞ্চম বলটি স্লগ সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে কাইরন পাওয়েলের হাতে ধরা পড়লেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল।
১০৩ রান করে তামিম ফিরে যাওয়ার পরই ব্যাটিংয়ে যিনি নামলেন তাকে দেখেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার অবস্থা। কেননা ছয় নম্বরে যিনি নেমেছিলেন তিনি সাব্বির কিংবা মোসাদ্দেক নন, অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা!
আর মাঠে নেমেই মাহমদুল্লাহর সাথে ৫৩ রানের একটি দারুণ জুটি গড়লেন তিনি। খেললেন ২৫ বলে ৩৬ রানের একটি ইনিংস। মাশরাফির এভাবে হুট করে ছয় নম্বরে নামার পেছনে কারণ যারা খুঁজছিলেন তারা ততক্ষণে বুঝে গিয়েছেন বিষয়টি।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অধিনায়ক নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিতেই আগে নেমেছিলেন তিনি। কোচ স্টিভ রোডস নাকি চেয়েছিলেন যেন ৩৫ ওভারের পর রানের চাকা একটু দ্রুত করতে পারে দল। আর সেই কারণেই এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিতে চেয়েছিলেন ম্যাশ।
মাশরাফি বলছিলেন, '৩৫ ওভারে পর থেকে কোচ চাইছিলেন রানরেট বাড়াতে। কোচকে বললাম, আমি যাই? তখন ব্যাটসম্যানদের সোজা শট খেলা কঠিন। চিন্তা করলাম, ঝুঁকিটা আমিই নিই। কোচও আমাকে সমর্থন করলেন। বললেন, কেন দ্বিধায় ভুগছ? যাও।’
মাহমুদুল্লাহর সাথে উইকেটে থাকাটা অনেক বেশি সহজ বলেও মন্তব্য মাশরাফির। সর্বদা কঠিন সময়ে দলের হাল ধরতে পারে বলে রিয়াদের ওপর যথেষ্ট আস্থা রয়েছে অধিনায়কের। মাশরাফির ভাষ্যমতে,
'রিয়াদ ক্রিজে থাকলে আমার কাছে সর্বদা কাজটি সহজ মনে হয়। আমাদের এর আগেও ছোট ছোট জুটি ছিলো। সে কঠিন সময়য়ে সবসময়েই ভালো করতে পারে। আমার মতে তামিম, সাকিব, মুশফিক এবং রিয়াদ এই সিরিজে দুর্দান্ত ছিলো।'