ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ সাদমানের
ছবি:
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সবাই যখন আসা-যাওয়ার মিছিলে তখন জীবন পেয়ে একাই লড়াই করলেন সাদমান ইসলাম। অ্যান্টিগার মতো জ্যামাইকাতেও চলমান বাংলাদেশের ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতা। এমন দিনে বাঁহাতি ওপেনার যেখানে ৬৪ রান করলেন সেখানে বাকি ১০ ব্যাটার মিলে করেছেন ১০০ রান। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া সাদমান ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন।
টানা বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় প্রথম দিনের দুই সেশনে খেলার সুযোগ হয়নি। তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশ যখন ব্যাটিং নামে তখন দ্রুতই ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। তিনে নেমে টিকতে পারেননি মুমিনুল হকও। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সাদমান। যদিও বাঁহাতি ওপেনারও ফিরতে পারতেন দ্রুতই। ব্যক্তিগত যখন ১৫ রানে যখন অপরাজিত তখন আলজারি জোসেফের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন সাদমান।
অ্যালিক অ্যাথানাজে ক্যাচ লুফে নিতে না পারায় জীবন পান বাংলাদেশের এই ব্যাটার। নিজের যখন ৩৫ রান তখন আরও ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের বলে শর্ট কভারে ক্যাচ দিলেও ক্রেইগ ব্রার্থওয়েট ক্যাচ নিতে না পারায় আরও একবার জীবন পান সাদমান। জয়, মুমিনুলরা যখন দাঁড়াতেই পারছিলেন না তখন প্রথম দিনের শেষ বিকেলেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের সকালটাও শুরু করেছিলেন সাবধানীভাবে।
যদিও একপ্রান্তে সাদমান থাকতেই শাহাদাত হোসেন দিপু, লিটন দাস, জাকের আলী অনিকরা ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করে সাজঘরে ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের তোপে বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে বাঁহাতি ওপেনারেরও। শামার জোসেফের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৬৪ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। হাফ সেঞ্চুরি করলেও ইনিংস বড় করতে না পারায় আক্ষেপ করছেন তিনি।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিজের ইনিংস নিয়ে সাদমান বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমি একটু অসুস্থ ছিলাম। এ কারণে ম্যাচটি খেলা হয়নি। এই ম্যাচের আগে প্রস্তুতি অনেক ভালো নেয়ার চেষ্টা করেছি, যাতে দলকে ভালো একটা শুরু এনে দিতে পারি। নিজের সেরাটা দিয়েছি, চেষ্টা করেছি অনেক। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আরও বড় করতে পারিনি (ইনিংস)। বড় করতে পারলে দলের জন্য আরও ভালো হতো। আশা করব, পরের ইনিংসে ভালো পারফরম্যান্স করব।’
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশে বোলিংয়েও প্রত্যাশিত ফলের দেখা পায়নি। বাংলাদেশের ১৬৪ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাটি কামড়ে উইকেট পড়ে থাকা ব্রার্থওয়েট ও কেসি কার্টি বিপদ হয়ে দাঁড়াতে পারেন সফরকারীদের জন্য। তবে সাদমানের চাওয়া তৃতীয় দিনের সকালে বোলাররা দ্রুতই কিছু উইকেট তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াবে। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও বড় রানের স্বপ্ন দেখছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
সাদমান বলেন, ‘আগের দিন বৃষ্টি হয়েছিল। সকালেও বৃষ্টি ছিল। এজন্য খেলা শুরু করতে দেরি হয়েছে। পরে যখন টস জিতে আমরা ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম, এখানে আমরা জানি যে, নতুন বলে একটু মুভমেন্ট হয়। আমরা মোটামুটি ভালোই সামলাচ্ছিলাম। আউটফিল্ডও অনেক ধীরগতির। আজকে সকালবেলা কিছু উইকেট পড়ে গেছে দ্রুত। তবে আমরা যদি এখন ভালো বোলিং করি, তাহলে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব এবং দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা যদি একটু রান করি, তাহলে আমাদের কাজে দেবে অনেক।’