|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
প্রথম ওভারে শুরুটা একেবারের প্রত্যাশিত ছিল না স্পেন্সার জনসনের। প্রথম ডেলিভারিতেই দিয়েছিলেন ওয়াইড। আর সঙ্গে বাই থেকে আসে আরও চার রান। এরপরের বলে আরেকটি ওয়াইড। সেই ওভারে খরচ করেন ১২ উইকেট। এমন শুরুর পর কেউই হয়তো ভাবেননি এই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেবেন এই বাঁহাতি পেসারই।
তার দাপুটে বোলিংয়েই পাকিস্তানকে ১৩ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। জনসন একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট উইকেট। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। মাত্র ১৭ রান তুলতেই তারা হারায় দুই উইকেট। বাবর আজম আউট হয়েছেন মাত্র ৩ রান করে। এরপর শাহিবজাদা ফারহানের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। তৃতীয় উইকেটে পাকিস্তানের কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও উসমান খান।
যদিও তাদের জুটি ২৭ রানের বেশি হতে দেননি জনসন। রিজওয়ান ১৬ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন টিম ডেভিডকে। এরপর আবারও উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। সালমান আঘা ফেরেন কোনো রান করার আগেই। পঞ্চম উইকেটে উসমান খান ও ইরফান খান নিয়াজি গড়েন ৫৮ রানের জুটি।
উসমান দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করে আউট হলে পাকিস্তানের কেউ আর বড় জুটি গড়তে পারেনি। তবে ইরফান শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন পাকিস্তানকে জেতাতে তবে পারেননি। তার ২৮ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি দলের কোনো কাজে আসেনি। ২ বল বাকি থাকতে ১৩৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
জনসন ২৬ রান খরচায় নেন ৫টি উইকেট। দুটি উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। আর একটি উইকেট গেছে জাভিয়ের বার্টলেটের ঝুলিতে। এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ম্যাথু শর্ট ও জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
দুজনে মিলে ২২ বলে গড়েন ৫২ রানের জুটি। চতুর্থ ওভারে ৯ বলে ২০ করা ম্যাকার্গকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। এক বল পর শূন্যরানে ফিরে যান জস ইংলিশ। খানিক বাদে ১৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩২ রানে পৌঁছে যাওয়া শর্টকে বোল্ড করেন আব্বাস আফ্রিদি।
এর পরই রানের গতি কমতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ২১, অ্যারন হার্ডির ২৮ রানে ভর করে কোনো রকমে দেড়শর কাছাকাছি যায় অজিরা। রউফ একাই নিয়েছেন ৪টি উইকেট। আর তিনটি উইকেট যায় আব্বাসের ঝুলিতে। ২টি উইকেট নিয়েছেন সুফিয়ান মুকিম।