|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সবশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। আয়োজক হিসেবে আগামী ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করার কথা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। তবে পাকিস্তানের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের শেষ নেই। ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট খেলতে লাহোরে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা কিংবা শুভমান গিলদের পাঠাবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরও জানা নেই।
এতসব অনিশ্চয়তায় মাঝে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আনুষ্ঠানিক ট্যুর শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কয়েকদিন আগে পিসিবি এক বিবৃতিতে ট্রফি ট্যুরের আদ্যপান্ত জানালেও সেখানে খানিকটা পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আয়োজক দেশের ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের মুজাফফারাবাদে যাওয়ার কথা ছিল ট্রফির।
পিসিবির এমন সিদ্ধান্তে আইসিসির কাছে অভিযোগের জানায় বিসিসিআই। পরবর্তীতে ট্রফি ট্যুরের প্রথম ধাপ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে মুজাফফারাবাদের নাম। ১৬ নভেম্বর শুরু হওয়া ট্রফি ট্যুরের প্রথম দিনে ৫০ ওভারের ক্রিকেটের টুর্নামেন্টের শিরোপা যাচ্ছে দামান-ই-কোহ, ফয়সাল মসজিদ ও পাকিস্তানের বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। ১৮ নভেম্বরে আবোত্তবাদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাইলফলকের স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে ট্রফি।
এ ছাড়া পাকিস্তানের টাক্সিলা, খানপুর, মুরে, নাথিয়া গলিতেও নিয়ে যাওয়া হবে ট্রফি। ২২-২৫ নভেম্বর ট্রফি থাকবে করাচিতে। ১০ দিনের সফরের অংশ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু পাহাড় ‘কেটু’তে আরোহণ করানো হবে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সফরের জন্য বের করা হবে ট্রফিটিকে।
পাকিস্তানের বাইরে সবার আগে আফগানিস্তানে নিয়ে যাওয়া ট্রফিটি। যেখানে রাখা হবে ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এক সপ্তাহের বেশি সময় বিরতিতে দিয়ে ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আনা হবে। যা থাকবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মাঝে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ট্রফি প্রদর্শনের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে সাউথ আফ্রিকায়। ১৫-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ট্রফিটি প্রদর্শন করা হবে। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড ঘুরে আবারও এশিয়ায় আসবে ট্রফিটি। ১৫-২৬ জানুয়ারিতে ভারতের বিভিন্ন স্থানে দর্শকদের সামনে এটি প্রদর্শন করা হবে। ভারত থেকে পরবর্তীতে আবারও ট্রফি আনা হবে পাকিস্তান।