|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম দুই রাউন্ডে মোটে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ। তবে বছরখানেক পর জাতীয় দলে ডাক পড়ায় পরের দুই রাউন্ডে ছিলেন না বাঁহাতি স্পিনার। আলোচনা-সমালোচনা, মানসিক চাপকে মাড়িয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁহাতি স্পিনে জাদু দেখিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের ফর্ম অব্যাহত রাখলেন এনসিএলেও। ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে নাসুম একাই নিলেন ১৯ রানে ৪ উইকেট।
সিলেট বিভাগের দুই পেসার রেজাউর রহমান রাজা ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ নিয়েছেন বাকি ৬ উইকেট। তাদের তিনজনের বোলিংয়ে তোপে মাত্র ১৩০ রানে গুটিয়ে গেছে নাইম শেখরা। মেট্রোকে গুঁড়িয়ে দিয়ে অমিত হাসানের হাফ সেঞ্চুরি ও তৌফিক খান তুষারের ব্যাটে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলেছে সিলেট। ৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামবেন অমিত ও মুবিন আহমেদ।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মেট্রোকে ভালো শুরু এনে দেন নাইম ও মাহফিজুল ইসলাম রবিন। তাদের দুজনের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ পার করে মেট্রো। উইকেটে থিতু হয়ে গেলেও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে নাইমকে। রাজার অফ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে এজ হয়ে গালিতে থাকা তৌফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে ৩১ রান করা নাইমকে।
প্রথম রাউন্ডে ১২২ রানের ইনিংস খেলে আগমনী বার্তা দিলেও নিজের সেই ছন্দ রাখতে পারেননি আইচ মোল্লা। মেট্রোর হয়ে নিয়মিত তিনে ব্যাটিং করা তরুণ এই ব্যাটার আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে। রাজার দারুণ এক ইয়র্কারে স্লিপে থাকা অমিতের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আইচ। সিলেটের ফিল্ডাররা আবেদন করলে কোন সিদ্ধান্ত না জানিয়ে থার্ড আম্পয়ারের কাছে ছুঁটে যান স্ট্রাইক প্রান্তের দায়িত্বে আম্পায়ার।
দুজনের খানিকক্ষণের আলাপ শেষে আইচকে আউট দেন আম্পায়ার। এমন অবস্থায় ৪ রানে ফিরে যেতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে। একটু পর সাজঘরের পথে হেঁটেছেন মাহফিজুলও। নাসুমের হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে চেয়ে শেষ মুহূর্তে ব্যাট সরিয়ে নেন তরুণ এই ওপেনার। ততক্ষণে অবশ্য বেশ খানিকটা দেরি করে ফেলেছিলেন মাহফিজুল। ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় স্লিপে থাকা অমিতের হাতে।
দলের রান একশ হওয়ার আগে মার্শাল আইয়ুব ও দারুণ ছন্দে থাকা আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের উইকেট হারায় ঢাকা মেট্রো। পরবর্তীতে শামসুর রহমান শুভ, গাজী তাহজিবুল ইসলাম, আবু হায়দার রনিরাও ফিরেছেন দ্রুতই। শেষ পর্যন্ত ৪৩.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৩০ রানের বেশি তুলতে পারেনি মেট্রো। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন স্পিনার নাসুম। তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজা ও খালেদ। দুজনেই খরচা করেছেন ২৮ রান করে।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন তৌফিক। আরেক ওপেনার পিনাক অবশ্য খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। ২৬ বলে ১৬ রান করে আউট হয়েছেন। পরের ওভারে হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে তৌফিককে। এরপর শেষ বিকেলের বাকিটা সময় পার করেছেন ৫১ রানে অপরাজিত থাকা অমিত ও ১৯ রানে অপরাজিত মুবিন। মেট্রোর হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন আরিফ আহমেদ ও ফাহিম হাসান।