বাংলাদেশ - সাউথ আফ্রিকা সিরিজ

বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখছেন শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:19 রবিবার, 20 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

দেড় সপ্তাহ আগে প্রস্তাব পাওয়ার পর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর পাঁচদিন আগে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ফিল সিমন্স। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ভালো সুযোগের কথা জানিয়েছিলেন ক্যারিবীয় এই কোচ। নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য জয়-পরাজয়ে গেলেন না। টেস্ট জিততে চাইলেও অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকা সাউথ আফ্রিকার চেয়ে নিজেদের এগিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

টেম্বা বাভুমা ছিটকে যাওয়ায় মিরপুর টেস্টে সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার এইডেন মার্করাম। ডানহাতি ব্যাটার নেতৃত্ব দেবেন প্রোটিয়াদেরও। মার্করামের তুলনায় ট্রিস্টিয়ান স্টাবস, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, রায়ান রিকেলটন, টনি ডি জর্জিরা টেস্ট দলে খানিকটা নতুনই বলা যেতে পারে। উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলা কিংবা টেস্ট খেলায় অভিজ্ঞতায় সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপকে অনভিজ্ঞ হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

বোলিং বিভাগে অবশ্য কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিদি, কেশভ মহারাজরা অভিজ্ঞতার ঝুলিয়ে নিয়ে এসেছেন। তবে মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, লিটন দাসদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশকে অভিজ্ঞতায় একটু খানি এগিয়ে রাখবে। নিজেদের কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় বাংলাদেশকে শান্ত এগিয়ে রাখছেন অনেকটা। সেটার পেছনে অবশ্য উপমহাদেশে সাউথ আফ্রিকার পারফরম্যান্সও বিবেচনায় আসতে পারে। এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের কন্ডিশনে ৫২ টেস্টের মাত্র ১৫টিতে জয় পেয়েছে তারা।

সবশেষ উপমহাদেশের মাটিতে প্রোটিয়ারা টেস্ট জয় পেয়েছিল ২০১৪ সালে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই টেস্টের পর এখন পর্যন্ত খেলা ১৪ টেস্টের একটিতেও জিততে পারেনি তারা। এই সময়ের মাঝে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা দুটি টেস্টে ড্র করেছে সাউথ আফ্রিকা। বৃষ্টির কারণে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট ড্র ছাড়া তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান অবশ্য খুব ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না। ১৪ টেস্টের ১২টিতেই হার দেখতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে শান্তকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে সবশেষ চার টেস্টের দুটিতে জয় পাওয়া।

টেস্ট শুরুর আগেরদিন এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘ওরা অভিজ্ঞ দল না এটা ঠিক আছে কিন্তু সত্যি বলতে আমার মনে হয় তারা ভালো দল। আমরা লাস্ট চারটা টেস্টের দুইটা জিতছি, দুইটা হারছি। জয়ের শতকরা হার যদি বলি পঞ্চাশ। ভালো খেলেছি, ভারতে ভালো খেলেনি। আমার মনে হয় দল খুব ভালো অবস্থায় আছে, বিশেষ করে এই টেস্ট দলটা।’

‘ঘরের মাঠে আমরা সবসময় ভালো করি। আমার বিশ্বাস আমাদের যে বোলিং অ্যাটাক বা ব্যাটাররা আছে আমরা যদি পরিকল্পনা ঠিকঠাক বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে ভালো টেস্ট ম্যাচই হবে। কিন্তু দুইটা দলের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ হবে। যে প্রতিটা সেশন বাই সেশন ভালো ক্রিকেট খেলবে সেই দলটাই জিতবে। কিন্তু আমি অবশ্যই বাংলাদেশ দলকে এখানে একটু এগিয়ে রাখব।’

অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারাতে স্পিনের দিকেই ঝুঁকে থাকে উপমহাদেশের দলগুলো। ঘরের মাঠে টেস্ট জিততে বাংলাদেশের পরিকল্পনাও প্রায় একই রকম। প্রোটিয়াদের হারাতে তাইজুল, মিরাজ, নাঈম হাসানদের উপর যে অধিনায়ক নির্ভর করবেন সেটার ইঙ্গিত পাওয়া গেল সংবাদ সম্মেলনে। শান্ত জানিয়েছেন, স্পিনারদের ভূমিকা আগের মতোই থাকবে। বাড়তি কোন চাওয়া না থাকলেও প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিতে নিজেদের প্রক্রিয়ার থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই, স্পিনারদের তো বাড়তি একটা ভূমিকা থাকবে সবসময় যেটা থাকে, আমরা অতীতেও দেখেছি। অতিরিক্ত কোন কিছু আশা করছি না। আমাদের স্পিনাররা অতীতে যেভাবে বল করে এসেছে, ওইভাবেই বল করবে। আমি চাইবো প্রক্রিয়াটা যেন ঠিক থাকে, প্রত্যেকটা বল যেন আমি দলের জন্য করি। ওই জায়গাটা থাকবে, বাড়তি কোন কিছু আমি স্পিনারদের কাছে চাই না। ২০ উইকেট আমরা কিভাবে নিতে পারি সেটা একটা প্রক্রিয়ার ব্যাপার। ওইটা যদি মেইনটেইন করি পারি তাহলে অবশ্যই এখানে ভালো ফলাফল করা সম্ভব।’