বাংলাদেশ - সাউথ আফ্রিকা সিরিজ

‘অনেকে খারাপ করেও ট্রল হতে হতে স্টার হয়ে গেছে, কেউ ভালো করেও হয়নি’

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:10 সোমবার, 21 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মুমিনুল হকের মতো টেস্ট ক্রিকেটারের তকমা লেগে গেছে তাইজুল ইসলামের গায়ে। সাদা বলের ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি বাঁ’হাতি স্পিনার। নিজেকে প্রমাণের খুব বেশি সুযোগ পেয়েছেন সেটাও বোধহয় বলার সুযোগ কমই। তবে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পারফরম্যান্সে রঙিন তাইজুল। বাঁহাতি স্পিনে বাজির ঘোড়া হয়ে ওঠা মোহাম্মদ রফিক, আব্দুর রাজ্জাকরা টেস্টের জার্সিটা তুলে রাখতেই সাকিবের সঙ্গী তিনি।

যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই নিজের সবটা নিংড়ে দিয়েছেন, পারফর্মও করেছেন তাইজুল। সাকিবের অভিষেকের পর থেকে সাকিব খেলেননি এমন ম্যাচে টেস্টে ১২বার ৫ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। যার ৯টিই তাইজুলের ঝুলিতে। মিরপুরে ২১ টেস্টে ৭৬ উইকেট নিয়ে এতদিন সবার উপরে ছিলেন সাকিব। তবে তার চেয়ে ৫ ম্যাচ কম খেলে বাঁহাতি স্পিনারকে ছাড়িয়ে গেছেন তাইজুল।

প্রায় একই গড়ে উইকেট নেয়া বাঁহাতি স্পিনার দুইশ উইকেটও ছুঁয়েছেন সাকিবের চেয়ে দ্রুততম সময়ে। এমন পারফরম্যান্সের পরও তারকা বনে যাওয়ার আলোকরশ্মি এসে পড়েনি তার গায়ে। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় সাকিবের পারফরম্যান্স কিংবা তারকাখ্যাতির আড়ালে পড়ে থাকতে হয়েছে তাকে। সেটা নিয়ে আক্ষেপের সুরে বলার চেষ্টা করলেন কেউ কেউ পারফর্ম না করেও ট্রলের মাধ্যমে তারকা বনে যান আবার কেউ ভালো করেও তারকা হতে পারেন না।

এমন অবস্থাকে অবশ্য মেনেও নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে এ প্রসঙ্গে তাইজুল বলেন, ‘আমাদের দেশে সত্যি বলতে অনেক কিছুই মুখে মুখে। বিষয়টা হলো- অনেকেই আছে খারাপ করেও ট্রল হতে হতে স্টার হয়ে গেছে। আবার অনেকে ভালো করেও স্টার হতে পারেনি। এরকম অনেক হয়েছে। এগুলো মেনে নিয়েছি। মেনে নেওয়া ছাড়া গতি নেই।’

সাকিবের ছায়ায় পড়ে যাওয়ায় তারকা হতে না পারা নিজেকে বঞ্চিত ভাবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য মুত্তিয়া মুরালিধরন ও রঙ্গনা হেরাথকে টেনে এনেছেন তাইজুল। ক্যারিয়ারের প্রথম কয়েক বছরের মুরালিধরনের কারণে একাদশে সুযোগ পেতেন না হেরাথ। তবে লঙ্কান গ্রেট বিদায় নিতেই দলের স্পিন বিভাগের নেতা হয়ে উঠেন বাঁ‘হাতি হেরাথ। বাংলাদেশের সাবেক স্পিন বোলিং কোচকে দেখে শেখা তাইজুল সামনে ভালো কিছুর অপেক্ষায় আছেন।

তাইজুল বলেন, ‘বঞ্চিত বলতে… আপনার প্রশ্নটা একটু কেমন যেন হয়ে গেল। বঞ্চিত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বে অনেকে আছে, বড় খেলোয়াড় ছিল, তারা খেলার সময় অন্যরা সুযোগ কম পেতো। মুরালিধরনের সময় হেরাথ খেলতে পারেনি। হেরাথ অনেক উইকেট পেয়েছে, দীর্ঘদিন খেলেছে। আমিও ইনশাআল্লাহ… সামনে দেখি ভালো কিছু হয় নাকি।’