পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজ

অভিষেকে সেঞ্চুরি করে বুলবুলের পাশে কামরান

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:26 মঙ্গলবার, 15 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টানা ব্যর্থতার কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে রাখা হয়নি তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে। তার পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন আরেক ব্যাটার কামরান গুলাম। টেস্ট অভিষেকেই দারুণ এক সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রান করেছে পাকিস্তান।

বয়স ২৯। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ভালো করার পরও জাতীয় দলে জায়গা পাচ্ছিলেন না তিনি। বাবরের অনুপস্থিতিই তাকে বড় সুযোগ করে দিয়েছে। যদিও এদিন টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। ১৯ রান তুলতেই তারা হারিয়েছিল ২ উইকেট।

আবদুল্লাহ শফিককে বোল্ড করে দেওয়ার পর অধিনায়ক শান মাসুদকেও ফেরান জ্যাক লিচ। এরপরই মাঠে নামেন কামরান। শুরুতে দেখে শুনে খেলতে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাতখুলে খেলতে থাকেন তিনি। ১০৪ বলে পৌঁছান হাফ সেঞ্চুরিতে।

তার খানিক আগেই ৯৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পাকিস্তানের সেনসেশন সাইম আইয়ুব। মূলত এই দুজনের ব্যাটে ভর করেই এগিয়েছে পাকিস্তানের ইনিংস। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সাইমও। তবে ব্যক্তিগত ৭৭ রানে তিনি ম্যাথু পটসের শিকার হয়ে ফিরলে তিন অঙ্কে যাওয়া হয়নি।

অবশ্য ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে ৭৪তম ওভারের শেষ বলে পার্ট টাইম স্পিনার জো রুটকে স্লগ সুইপে বাউন্ডারি মেরে তিন অঙ্কে পৌঁছান কামরান। আর তাতেই ক্রিকেট ইতিহাসের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে অভিষেকে ৪ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি হাকানোর কীর্তি গড়েছেন তিনি।

তার আগে এই কীর্তি আছে বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম বুলবুল, পাকিস্তানের সেলিম মালিক, ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঙ্ক চার্লস, ভারতের রগনাথ বিশ্বনাথ ও ইংলিশ ব্যাটার নবাব ইফতেখার আলী খান পাতৌদির। শেষ পর্যন্ত ১১৮ রান করে শোয়েব বাশিরের শিকার হয়েছেন কামরান।

২২৪ বলের ইনিংসে ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। এই ইনিংসের পথে তৃতীয় উইকেটে সাইমের সঙ্গে গড়েন ১৪৯ রানের জুটি। এরপর পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে কামরান যোগ করেছেন আরও ৬৫ রান।

প্রথম দিনের খেলা শেষে রিজওয়ান অপরাজিত আছেন ৩৭ রান করে। আর ৫ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন সালমান আলী আঘা। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে প্রথম দিন সবচেয়ে সফল ছিলেন জ্যাক লিচ। তিনি একাই নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন পটস, ব্রাইডন কার্স ও বশির।