বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ

ফ্ল্যাট উইকেটে ভালো খেলার উদাহরণ হতে পারে ভারত: হৃদয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 01:47 রবিবার, 13 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের ব্যাটাররা রান বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। গোয়ালিয়র, দিল্লির পর হায়দরাবাদেও ভারতীয় ব্যাটারদের তোপের মুখে পড়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। পুরো সিরিজ জুড়ে বাংলাদেশের একজন মাত্র ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন।

সেটাও ১৩৩ রানে হারের শেষ ম্যাচে। তাওহীদ হৃদয় এদিন ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। এরপর দলের হয়ে সংবাদ সম্মেলনেও এসেছিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। তার কথায় ফুটে উঠল অসহায়ত্ব। ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং কোনোটিই এই সিরিজে জুতসই হয়নি সেটাও মেনে নিয়েছেন তিনি।

হৃদয় বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে, খুবই ভালো উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য। আমরা ভালো বোলিং করিনি। আমরা কিছু জায়গায় উন্নতি করতে পারি। আশা করি আমরা সেটা করতে পারব। আমরা তো বল ভালো করিনি। শুধু বল না, ব্যাটিংও ভালো করিনি পুরো সিরিজে। আমাদের কিছু জায়গায় ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে। ওরা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আমরা আরও ভালো করতে পারতাম।’

পুরো সিরিজ জুড়েই ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। শেষ ম্যাচে জাকের আলীকে বসিয়ে তানজিদ তামিমকে ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতেও ভাগ্য বদল হয়নি বাংলাদেশের। হৃদয় মনে করেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা ভালো করলে সহজেই দলের সংগ্রহ ১৮০ হয়ে যায়।

ব্যাটারদের ব্যর্থতার কথা বলতে গিয়ে হৃদয় জানান, ‘দেখুন, প্রতিটা দলেই টপ অর্ডার থেকে রান হয়। সেখানে রান এলে ইনিংস বড় হয় স্বাভাবিকভাবেই। টপ ফোর থেকে যদি বড় রান আসে, তাহলে রান ১৮০ হয়। আমাদের সবকিছু মিলিয়ে অনেক জায়গা আছে উন্নতির। এই সিরিজে আমাদের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। আশা করি সেটা করতে পারব।’

আইপিএলের সুবাদে ভারতের বেশিরভাগ উইকেটই রান প্রসবা। সেই সঙ্গে শক্তিমত্তাতেও তারা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সেই সঙ্গে ২০ ওভারের ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। এই সিরিজে সেই পার্থক্যগুলো ধরা দিল আরও বড়ভাবে। হৃদয় মনে করেন এবারের ভারত সফরে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মান যে খুব নিচে তা বলব না। আমরা তো বড় দলের সঙ্গে খেলেছি। ভারত শক্তিশালী দল। ওদের হোমে খেলা। ওদের সবকিছু ভালো। স্কিলের দিক থেকেও ওরা এগিয়ে আছে। আমরা যে খুব পিছিয়ে আছি তা বলব না। আমরা ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে খেলতে পারব, সেটা যত খেলব, তত ভালো বুঝব।’

বাংলাদেশ বেশিরভাগ ঘরের মাঠের ম্যাচই খেলে মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে। যেখানে স্পিন বান্ধব বা কম রানের ম্যাচই হয় বেশি। তবে ভারতে একেবারে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলতে হয়েছে টাইগারদের। হৃদয় মনে করেন এমন উইকেটে কীভাবে ভালো খেলতে হয় সেটার উদাহরণ হতে পারে ভারতই। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের জন্য উদাহরণ হতে পারে। ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে খেলা যায়…ভালো পরিকল্পনা করা যায়।’