বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে হতাশ শান্ত-হাথুরুসিংহে
ছবি:
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টেস্টের বছরে সিলেট ও চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হতাশার ব্যাটিংয়ে শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের। পাকিস্তান সফরেও চোখে পড়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতা। তবে লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজদের সঙ্গে পেসারদের কল্যাণে সেটা খানিকটা ঢেকে রাখা গেছে। ভারত সফরে যেতেই যেন ব্যাটিং ব্যর্থতার পুরনো গল্প ফেরালেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। চেন্নাই টেস্টে রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা শাসন করতে পারলেও ব্যর্থ ছিলেন জাকির হাসান, সাদমান ইসলামরা।
কানপুরে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছেন সবাই মিলে। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের করা সেঞ্চুরি বাদ দিলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য কেবলই হতাশার। কানপুর টেস্ট ড্র করতে চাইলে হাতে ৮ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে কেবলমাত্র দুটো সেশন ব্যাটিং করলেই হতো। অথচ জসপ্রিত বুমরাহ, জাদেজা এবং অশ্বিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্তরা।
আড়াই দিন বৃষ্টি হওয়ার পরও বাংলাদেশের এমন হারে হতাশা লুকাতে পারেননি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘ পুরো সিরিজে আমাদের ব্যাটিং একেবারেই হতাশাজনক। এমনকি আগের সিরিজেও আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো করেছে এবং কিছু কিছু খেলোয়াড় দারুণ পারফর্ম করেছে। সবশেষ কয়েকটি সিরিজ থেকেই আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এটার একটা কারণ মনে হয় আমাদের ব্যাটিং।
‘আপনি মানসম্পন্ন প্রতিপক্ষের কথাও বলতে পারেন। তাদের সামর্থ্য, স্কিল সব কিছুই আমাদের চেয়ে তাদের বেশি ছিল। এখান থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখব। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। আমরা জানি টপ স্ট্যান্ডার্ড কী। তারা সেরা দল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পেয়েছি আমরা। ভারতের মাটিতে খেলা অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে খুবই কঠিন। আমরা জানি আমাদের আরও কত বেশি উন্নতি করা প্রয়োজন।’
হাথুরুসিংহের মতো ব্যাটিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শান্তও। বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চোখে পড়েছে ৩০-৪০ বলে খেলার পর ব্যাটারদের আউট হয়ে যাওয়া। বাঁহাতি ব্যাটার নিজেদের ভালো ব্যাটিং করতে না পারার বিষয়টি অবশ্য স্বীকার করতে একটুও দ্বিধা রাখলেন না। শান্ত জানান, টেস্টে বড় ইনিংসের জন্য খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘দুই টেস্টেই আমরা ভালো ব্যাট করতে পারিনি। এই কন্ডিশনে আমাদের ভালো ব্যাট করতে হবে। যদি আমাদের ব্যাটসম্যানদের দেখেন ৩০/৪০ বল খেলেই আউট হয়ে গেছে। ব্যাটসম্যান নামার পর বড় স্কোরের জন্য খেলাটা টেস্ট ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ।’