সাকিবের বিকল্প মিরাজের কাছে ব্যাটিংয়ে বেশি চাওয়া বাংলাদেশের
ছবি:
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কানপুর টেস্টের আগে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক নিশ্চিত করেছিলেন সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। সাকিবের অবসরে মেহেদী হাসান মিরাজের ২০ ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলের হয়ে ফেরা অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। অনুমেয়ভাবে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রাখা হয়েছেও তাকে।
৯ মাস পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা মিরাজকে বিবেচনা করা হচ্ছে সাকিবের বিকল্প হিসেবে। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে ২৫ ম্যাচে ২৪৮ রান করা অলনরাউন্ডার বল হাতে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত অফ স্পিন করতে পারায় মিরাজকে দিয়ে সাকিবের অভাব পূরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অলরাউন্ডার ভূমিকায় খেললেও তার ব্যাটিংয়ে বেশি অবদানের আশা করছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় গাজী আশরাফ বলেন, ‘মিডল অর্ডারে গ্রেট সাকিব আল হাসান ঘোষণা দিয়েছে সে তার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলে ফেলেছে। সেখানে তার যে অভিজ্ঞতা, পারফরম্যান্স তার কাছাকাছি বিকল্প আসলে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে না থাকলেও তার জায়গাটি ব্যাটিংয়ে যিনি খুব ভালোভাবে সামাল দিতে পারে বলে আমরা মনে করি সেরকম একটা বিকল্প মেহেদী মিরাজ। সে ওই জায়গাটা নেবে। বিশেষ করে তাকে আমরা ভাবছি ব্যাটিংয়ে সে সবচেয়ে বড় অবদান দলে রাখতে পারবে এবং সে ভালো অফ স্পিন করে।’
ভারত সফরে মিরাজকে সাকিবের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করলেও গত বছরের জুলাইয়ের পর থেকে বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেননি তিনি। এমনকি সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াড কিংবা রিজার্ভ বেঞ্চেও ছিলেন না এই অলরাউন্ডার। মিরাজকে বিশ্বকাপ দলে না রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাচক। গাজী আশরাফ জানিয়েছেন, টেস্ট এবং ওয়ানডেতে যেন মিরাজের পারফরম্যান্সে প্রভাব না পড়ে এ যেন তাকে বিশ্বকাপ দলে বিবেচনা করা হয়নি। শুধু তাই হয় পাওয়ার প্লেতে ডানহাতি অফ স্পিনারের বোলিং নিয়েও সন্তুষ্ট ছিলেন না তারা।
গাজী আশরাফ বলেন, ‘আগে আমরা যে তাকে বিশ্বকাপ দলে সম্পৃক্ত করিনি মূল কারণ ছিল আমরা তার টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাটিং ও বোলিং গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছিলাম। যাতে টি-টোয়েন্টি খেলার যে একটা আগ্রাসন আছে সেটা তার ব্যাটিংয়ে যেন প্রভাব না রাখে কিংবা বোলিং করতে গেলে প্রথম পাওয়ার প্লেতে যেভাবে বোলিং করতে হয় সেই জায়গাতে আমরা ভালো অপশন মনে করিনি। সে যে প্রচলিত বোলিং করে সেটা যেন কোনভাবে বিঘ্ন না ঘটে। অনেক সময় আপনারা জানেন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অনেক ভালো বল দেখা যায় যে মাঠের বাইরে থেকে ফিল্ডারদের কুড়িয়ে আনতে হয়।’
‘এটা একটা প্রধান কারণ ছিল যারা ভাবছেন বিশ্বকাপ দলে কেন ছিল না। এই ব্যাপারগুলোতে মেহেদী মিরাজের সঙ্গে আমাদের খুব পরিষ্কার কথা-বার্তা হয়েছিল কেন আমরা তাকে দলে রাখিনি, আমরা কোথায় তাকে দেখতে চাই। আমার বিশ্বাস সে যেখানে ব্যাটিং করবে সেখানে সে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আলোকে বেশ বল যাতে পায়, যাতে তাকে ফিনিশারের ভূমিকায় না গিয়ে আরও একটু উপরে আমরা নির্বাচক প্যানেল তাকে দেখতে চাই।’