ভারত - বাংলাদেশ সিরিজ

ভারত সফরেও থাকছেন হাথুরুসিংহে

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:03 শনিবার, 07 সেপ্টেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে দেশে ফেরার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটার কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টকে নিয়ে প্রশংসাই বেশি হওয়ার কথা ছিল। প্রশংসা যে একবারে হচ্ছে না সেটাও বলা যাবে না। তবে আলোচনা-সমালোচনার পুরোটা জুড়ে আছেন কেবলই চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতার পরও হাথুরুসিংহের চাকুরি থাকবে কিনা সেটাই বোধহয় বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে।

এমন প্রশ্ন তৈরির পেছনে অবশ্য বেশিরভাগ দায়ই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদের। সভাপতি হওয়ার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে হাথুরুসিংহকে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে চান না। বিসিবির দায়িত্ব নেয়ার পরও নিজের পুরোনো অবস্থানেই আছেন। গুঞ্জন ছিল, ভারত সফরের আগেই চাকরি হারাতে পারেন লঙ্কান এই কোচ।

যদিও আপাতত সেটা হচ্ছে না। সবকিছু ঠিক থাকলে হাথুরুসিংহের অধীনেই দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ। সিরিজ জিতে দলের সঙ্গে ঢাকায় আসার পর ৫ সেপ্টেম্বর ছুটিতে গেছেন তিনি। ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশের প্রধান কোচ দেশে ফিরবেন ১১ সেপ্টেম্বর।

সিরিজ খেলতে চেন্নাইয়ের বিমান ধরার আগে ১২ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পেও যোগ দেবেন তিনি। হাথুরুসিংহের ক্যাম্পে যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধান কোচ আসবেন, এখানে (মিরপুরে) আসবেন।’

ভারত সফরে যাওয়ার আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেশ কিছুদিন ধরেই ঘাম ঝরাচ্ছেন সাদা বলের ক্রিকেটাররা। পাকিস্তান থেকে ফিরে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। এদিকে ভারত সফরকে কেন্দ্র করে ৮ তারিখ অনুশীলন নামবেন টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা। তবে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো দল নিয়ে পুরোদমে অনুশীলন করতে দেখা যাবে।

অনুশীলন ক্যাম্পের বিষয়টি নিশ্চিত নাজমুল আবেদিন বলেন, ‘৮ তারিখে খুব সম্ভবত অনৈচ্ছিক একটা অনুশীলন আছে কিন্তু ৯ তারিখ থেকে পুরো দল পুরোদমে অনুশীলন হওয়ার কথা। আবহাওয়া কিছুটা বিব্রতকর সৃষ্টি করতে পারে। চেষ্টা করব এর মাঝেও যেন ঠিকভাবে প্রস্তুতিটা নেয়া যায়।’

পাকিস্তানের মতো ভারত সফরেও পর্যাপ্ত অনুশীলন সুবিধা পাওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিপূর্ণ পাওয়া সম্ভব না কারণ ওইটা এক দেশ এটা আরেক দেশ, পার্থক্য থাকবেই। আমাদের চেষ্টা অবশ্যই থাকবে যতটুকু সম্ভব তার মতো করে করার, একবারে অনুকরণ সম্ভব হবে না। যতটুকু কাছাকাছি করা যায় ওইটা নিশ্চই চেষ্টা করবে।’