|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে রান বন্যা বইয়ে দিয়েছেন এইচপির ব্যাটাররা। জিসান আলম, আফিফ হোসেন ও আকবর আলীর সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৪০৩ রানের পাহাড় গড়ে এইচপি।
এর মধ্যে জিসান ও তানজিদ হাসান তামিম ওপেনিং জুটিতেই তুলেছেন ৯৯ রান। তানজিদ ৪৯ বলে ৪৮ রান করে ফিরে গেলেও অন্যপ্রান্তে তান্ডব চালিয়েছেন জিসান। টাইগার্সের বোলারদের তুলোধোনা করে ৬৪ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
৭৮ বলে ৬টি চার ও ১৩টি ছয়ে ৭৮ বলে ১২৭ রান করেন। এমন ইনিংসের পর জিসান জানিয়েছেন ছোটো থেকেই ছক্কা মারার অনুশীলন করেছেন তিনি। এখন বড় শট খেলা তার অভ্যাস হয়ে গেছে তার। শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে দুশো রান করাও সম্ভব ছিল বলে মনে করেন জিসান। ডাবল সেঞ্চুরি না হওয়ার কিছুটা আক্ষেপও করেছেন তিনি।
গণমাধ্যমকে জিসান বলেছেন, 'একটু আফসোস লাগছে যেহেতু ভালো খেলছিলাম... উইকেট অনেক ভালো ছিল। যদি পঞ্চাশ ওভার খেলতে পারতাম দুইশ হতই। সকালে উইকেটটা একটু স্লো ছিল। দশ ওভারের পর ঠিক হয়ে গেছে। আমি আর তামিম ভাই সেট ছিলাম। ইতিবাচকভাবে খেলছিলাম। ১০ ওভারের পর উইকেট ভালো হয়ে গেছে।'
গেল কয়েক বছর ধরেই জিসান আলোচনায় আছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকেই নিজেকে পরিচিত করেছে এই ব্যাটার। এরপর যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন নিজের ছাপ রেখেছেন। নিজের খেলার ধরণ নিয়ে জিসান বলেন, 'ছোটোবেলা থেকেই (ক্লিনহিট) এগুলো অনুশীলন করে থাকি। ন্যাচারালি হয়ে গেছে। তখন আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন নরমাল লাগে আমার কাছে।'
বাংলাদেশে সাধারণত স্পিন বোলিং বান্ধব উইকেটেই বেশিরভাগ খেলা হয়। তবে গত কয়েক বছরে সেই চিত্র অনেকটাই বদলেছে। বিসিবি ক্রিকেটারদের জন্য প্রস্তুত করেছে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটও। জিসানের বিশ্বাস এমন উইকেটে নিয়মিত খেললে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ভালো করা সম্ভব তাদের।
জিসান বলেন, 'ভালো উইকেটে আমরা যদি ম্যাচ খেলি। তিনশ, সাড়ে তিনশ চারশ... চারশ রান তো সব ম্যাচে হবে না। এভারেট একটা রান করা উচিত। আর উপর থেকে যদি রান করে... আজকে আমি ভালো শুরু পেয়েছি। আফিফ ভাই ভালো ব্যাটিং করেছে। আকবর ভাই ভালো ফিনিশিং করেছে। এভাবে যদি ম্যাচ খেলতে থাকি ভালো উইকেটে ভাল কিছু হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো কিছু করতে পারি।'