টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

চেষ্টা করি দল যাতে সর্বোচ্চটা পায়, এটাই আমার কাজ: তানজিম

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:58 শনিবার, 15 জুন, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের প্রত্যাশা মেটাতে পারলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেই থাকার কথা ছিল না তানজিম হাসান সাকিবের। স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে থাকবেন এমন নিশ্চয়তা ছিল না একদমই। তবে শরিফুল ইসলামের চোটে কপালে খুলে ডানহাতি এই পেসারের। সুযোগ পেয়ে সেটা দু’হাতে লুফে নিয়েছেন তানজিম সাকিব। বাংলাদেশের এই পেসার জানান, চেষ্টা করি আমার কাছ থেকে দল যেন সর্বোচ্চটা পায়।

প্রকাশ করা না হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আগেই আইসিসির কাছে প্রাথমিক দল জমা দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পাঠানো ১৫ জন থেকে শেষ পর্যন্ত বাদ দেয়া হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ ম্যাচে ৮ উইকেট নেয়া সাইফউদ্দিনকে। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের জায়গায় সুযোগটা মেলে পেসার তানজিম সাকিবের।

বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ঘরের মাঠে খেলা সিরিজে ২ ম্যাচে মাত্র একটি উইকেট নিয়েছিলেন তরুণ এই পেসার। যার ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক প্যানেল। যদিও নির্বাচকরা জানিয়েছিলেন, মাঠে সবটা নিংড়ে দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকা তানজিম সাকিবের আক্রমণাত্মক মানসিকতা মনে ধরেছিল তাদের। স্কোয়াডে থাকলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল একেবারে ক্ষীণ।

সবশেষ দুই বছরে জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন পেস ইউনিটের তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল। একাদশে তিন পেসার খেলালে তাদের তিনজনেরই খেলার ছিল। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি বাঁ’হাতে চোট পান শরিফুল। তাতেই কপাল খুলে যায় তানজিম সাকিবের। শ্রীলঙ্কার প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ২৪ রানে নিয়েছিলেন এক উইকেট। দীর্ঘদেহী না হলেও তরুণ এই পেসার ভয়ংকর হয়ে ওঠেন সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে।

দারুণ লাইন লেংথ বজায় রেখে বোলিং করা তানজিম প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ১৮ রানে ৩ উইকেট, যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। যেখানে ফিরিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক, রিজা হেনড্রিক্স এবং ট্রিস্টিয়ান স্টাবসকে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১ উইকেট নিতে খরচ করেছিলেন ২৩ রান। একাদশে সুযোগ না পাওয়ার শঙ্কা ও পুরো বিশ্বকাপে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তানজিম জানান, তিনি সবসময় ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুত থাকেন।

নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তানজিম বলেন, ‘ম্যাচ খেলব কি খেলবো না এটা কখনও চিন্তা করি না। আমাকে যদি ম্যাচ খেলায় আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব এবং আমি ওইভাবেই প্রস্তুত করেছি নিজেকে যে আমি ম্যাচ খেলছি। যদি না খেলায় দলের সমন্বয়ের কারণে সেটা ভিন্ন ইস্যু। কিন্তু আমি সবসময় প্রস্তুত থাকি ম্যাচ খেলার জন্য। আমি যখনই ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই আমি চেষ্টা করি আমার শতভাগ দেয়ার জন্য। সেটা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব জায়গায়। আমি সবসময় চেষ্টা করি যাতে আমার কাছ থেকে দল সর্বোচ্চটা পায়, এটাই আমার কাজ।’

সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে হারলেও সুপার এইটে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের। নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জিততে পারলেই সেরা আটে জায়গা করে নেবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। এদিকে সহযোগী দেশ হলেও অল্পের জন্য সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের দেখা পায়নি নেপাল। যেখানে শেষ বলের লড়াইয়ে ১ রানে হারতে হয়েছে তাদের। নেপালের এমন পারফরম্যান্সের পর তাদেরকে নিয়ে ধারণা বদলে গেছে কিনা, এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল তানজিমের কাছে।

২১ বছর বয়সী এই পেসার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোন ছোট বা বড় দল নেই। প্রত্যেক দলকেই আমরা সমানভাবে দেখার চেষ্টা করি। কারণ টি-টোয়েন্টি খেলাটাই মোমেন্টামের খেলা। মাত্র ২০ ওভারে খেলা, কখন মোমেন্টাম বদলে যায় কেউ বলতে পারে না। আমরা প্রত্যেকটা দলকে একইভাবে নেয়ার চেষ্টা করি। আমরা আমাদের আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলব, আমাদের জায়গায় স্থির থাকব।প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, আমরা সবার সাথে একইভাবে খেলার চেষ্টা করব।’