টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘সাকিব কাউকে পাত্তা দেয় না’

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:12 শুক্রবার, 14 জুন, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ভারত বিশ্বকাপ থেকেই ব্যাটিং নিয়ে বড় পরিসরে ভুগছেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে কিংবা টেস্টের পর পারফর্ম করতে পারছেন না টি-টোয়েন্টিতেও। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে সবশেষ ১৯ ইনিংসে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব। সবশেষ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২২ সালের অক্টোবরে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে। চলতি বছরেও ছন্নছড়া বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স।

ডাচদের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে ৭ ম্যাচে বল হাতে ৬ উইকেট নেয়া সাকিব ব্যাটিংয়ে করেছিলেন মাত্র ৬৯ রান। এদিকে ৬ উইকেট নেয়া বাঁহাতি এই স্পিনার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচেই পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। এবারের বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে সাকিব সূলভ পারফর্ম করতে পারায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। সাকিব শেষ হয়ে গেছেন, সবখানে যখন এমন রব উঠেছে তখন তাকে লক্ষ্য করে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন বীরেন্দ্রর শেবাগ।

সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অ্যানরিখ নরকিয়ার বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। প্রোটিয়াদের সঙ্গে ৪ রানে হারা ম্যাচে ওমন সময় সাকিবের এমন শট খেলা পছন্দ হয়নি শেবাগের। ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তাই বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডারকে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ভারতের সাবেক এই ওপেনারের মন্তব্যে যখন সবটা উত্তাল তখন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন সাকিব।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে খেলেছেন অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস। বল হাতে যদিও ছিলেন উইকেটশূন্য। ম্যাচজয়ী পারফর্ম করা সাকিবের কাছে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল এমন পারফরম্যান্স শেবাগের কটু মন্তব্যের জবাব কিনা। সাকিব জানান, তিনি কাউকে জবাব দেয়ার জন্য ক্রিকেট খেলেন না। এদিকে নির্বাচক হান্নান সরকার জানিয়েছেন, সাকিব কাউকেই পাত্তা দেন না।

ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে একান্ত আলাপকালে হান্নান বলেন, ‘যখন এটা শুনেছি তখন বাংলাদেশি হিসেবে তো ব্যাপকভাবে গায়ে লেগেছে। উদাহরণ হিসেবে বিরাট কোহলির কথা ধরুন, সে তিন ম্যাচে রান করেনি আপনি বিরাটকে নিয়ে এধরনের মন্তব্য করতে পারবেন? সেটা যে দেশের খেলোয়াড়ই হোক। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে একটা মন্তব্য করলাম যে র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর জায়গা ধরে রেখেছে বছরের পর বছর ধরে। তো সেই খেলোয়াড় সম্পর্কে আপনি একটা-দুইটা-চারটা ম্যাচ দেখে বিচার কিংবা এত বড় একটা মন্তব্য করে ফেলবেন এটা আসলে কোনভাবেই যৌক্তিক না। এটা আমাদের সবার কষ্ট লেগেছে।’

‘একজন বাংলাদেশি পাশপাশি আমি একজন জাতীয় দলের নির্বাচক, সব মিলিয়ে আমি তো ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমার কাছে বেশি খারাপ লেগেছে যে বীরেন্দ্রর শেবাগ অনেক উঁচু মানের খেলোয়াড় ছিলেন, চমৎকার খেলোয়াড় ছিল, সব ফরম্যাটে দাপট দেখিয়েছে ওপেনার হিসেবে। সেই ধরনের খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এধরনের মন্তব্য আমরা কখনও প্রত্যাশা করি না। বাকিটা যার যার ব্যক্তিগত মতামত। সে মন্তব্য করেছে, সেটা সাকিবও পাত্তা দেয়নি। সাকিব আসলে কাউকেই পাত্তা দেয় না।’