আইপিএল

বয়সের কারণে স্বপ্নিলকে দল থেকেই বাদ দিতে চেয়েছিলেন ক্রুনাল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:07 সোমবার, 20 মে, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্লে অফে জায়গা করে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চেন্নাই সুপার কিংসকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়ে সেরা চারে জায়গা পেয়েছে ফাফ ডু প্লেসির দল। বেঙ্গালুরুর প্লে অফে জায়গা করে নেয়ার পেছনে বড় অবদান আছে স্বপ্নিল সিংয়ের।

বেশ কয়েকটি ম্যাচে তার মিতব্যয়ী বোলিংই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। গত আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের নেট বোলার ছিলেন স্বপ্নিল। এরপর দলটির হয়ে দুটি ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়েছিল। তবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। লক্ষ্ণৌয়ের কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার বেঙ্গালুরু যোগ দিলে তার চোখে চোখে ছিলেন স্বপ্নিল। 

এরপর নিলাম থেকে তাকে দলে ভেড়ায় বেঙ্গালুরু। যদিও শুরুর দিকে টিম কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ হচ্ছিল না স্বপ্নিলের। অবশেষে নবম ম্যাচে তার সুযোগ আসে সানরাইজার্স হায়দরবাদের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে এইডেন মার্করাম ও হেইনরিখ ক্লাসেনের উইকেট তুলে নেন স্বপ্নিল। 

এরপর চেন্নাইয়ের বিপক্ষে রবীন্দ্র জাদেজা, রাচিন রবীন্দ্রদের ঝড়ো ব্যাটিংয় সামলে দুই ওভারে মাত্র ১৩ রান দেন এই উত্তর প্রদেশের বোলার। এরই মধ্যে ৬ ম্যাচে ৬ উইকেট পেয়েছেন তিনি। স্বপ্নের মতো আইপিএল কাটানোর পর নিজের ক্রুনাল পান্ডিয়াকে নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন স্বপ্নিল।

তাকে বারোদার দল থেকে বাদ দিতে চেয়ে এই ভারতীয় ক্রিকেটার। মূলত বয়সের দোহাই দিয়ে তাকে দল নিতে চাননি ক্রুনাল। অবশ্য স্বপ্নিল মনে করেন বারোদা দল থেকে বাদ না পড়লে তিনি বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে পারতেন না। তাই ভাগ্যকে কৃতিত্ব দিয়েছেন এই পেসার।

বেঙ্গালুরুর এই পেসার বলেন, ‘অধিনায়ক ক্রুণাল পান্ডিয়া আমায় দলে নিতে চাননি। স্পষ্ট জানিয়েছিল, বয়স হয়ে গেছে, অন্য কোনো ক্রিকেটারকে নেবে। এরপর আমি বাঁরোদা ছেড়ে দেই। একদিকে বরোদা আমার সঙ্গে ভালোই করেছিল, কারণ বারোদা না ছাড়লে আমি এখানে থাকতাম না। এরপর দীপক হুডা আমায় এলএসজিতে নেট বোলার হিসেবে ডাকেন।’

২০০৮ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন স্বপ্নিল। এরপর পাঞ্জাব কিংস, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস হয়ে বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে দেখা যায় তাকে। আইপিএলের সর্বশেষ নিলামের সময় রঞ্জিতে ম্যাচ খেলছিলেন স্বপ্নিল। সেই সময়ই এই সুখবর পান তিনি। রঞ্জিতে আর এক মৌসুম খেলেই অবসরের সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

সেই সময়ের কথা স্মরণ করে স্বপ্নিল বলেন, ‘নিলামের দিন আমি দেরাদুন যাচ্ছিলাম রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে। সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত নিলামের প্রথম রাউন্ড শেষ হয়ে গেছে। আমি ভেবেছিলাম, আইপিএলকে গুডবাই জানাব। আর হয়ত একটা মৌসুমে রঞ্জি খেলব, তারপরই অবসর নেব। কারণ ক্রিকেট তো সারাজীবন খেলতে পারব না।'

তিনি যোগ করেন, 'জীবনে আরও অনেক কিছুই করা যায় সাফল্য পাওয়ার জন্য। আমি খুব হতাশ ছিলাম, কিন্তু যখন বাড়ি থেকে ফোন করেছিল, তখন আমি কেঁদে ফেলি,নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি। অনেকেই আমার এই দুঃখের যাত্রাপথের কথা জানে না। বিরাট কোহলির রুম পার্টনার ছিলাম, এবার যখন দেখা হয় তখন ও পরিবারের সকলের কথা জিজ্ঞাসা করে।’