ডিপিএল

রাব্বির সেঞ্চুরিতে শেখ জামালের জয়, ছিটকে গেলো শাইনপুকুর

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:53 বৃহস্পতিবার, 25 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শিরোপার লড়াইয়ে এমনিতেই বেশ পেছনে ছিলো শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সমীকরনের লড়াইয়ে টিকে ছিল দলটি। কিন্তু জিসান আলমের আক্ষেপের দিনে সেই লড়াই থেকেও ছিটকে গেল দলটি। এদিন এদিন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার দারুণ সুযোগ আসে জিসানের। কিন্তু ২ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তার ইনিংসে ভর করেই ২৬৪ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। জামাল পায় ৭ উইকেটের জয়।

শাইনপুকুরের ছুঁড়ে দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই সৈকত আলির উইকেট হারায় জামাল। ১১ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান হাসান মুরাদ। শুরুর ধাক্কা দারুণভাবেই সামাল দেন সাইফ হাসান ও রাব্বি। দুজনের ব্যাটে করেই জয়ের পথে হাটতে থাকে দলটি। এদিন রিশাদ হোসেনকে থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে চার মেরে ৪৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলেনেন মৌসুম জুড়ে ছন্দে থাকা সাইফ।

আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সাইফ এদিনও হাটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু নাহিদ রানার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৬৭ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর ৫৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন রাব্বি। এদিন তাকে সঙ্গ দিতে এসে ২৬ রান করে ফেরেন নুরুল হোসেন সোহান। তাকে ফেরান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

এরপর দলের বাকি কাজটা করেন উইকেটে থিতু হয়ে থাকা রাব্বি ও ইয়াসির আলি চৌধুরী। মৌসুম জুড়ে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি করা রাব্বি এদিন দলের জয়ের পাশাপাশি হাটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। এ সময় ১১৪ বলে মৌসুমে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। এদিন ৬টি করে ছক্কা ও চারের মারে ১০১ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়ে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির। শাইনপুকুরের হয়ে নাহিদ, মুগ্ধ ও মুরাদ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠের এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে শাইনপুকুর। এদিন শুরু থেকে আক্রমনাত্বকভাবে খেলতে থাকা জিসান হাফ সেঞ্চুরি করেন মাত্র ২৮ বলে। তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে উদ্বোধনি জুটিতেই ১২৩ রান তোলেন তিনি। কিন্তু ৩৯ রান করা তামিমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদি হাসান সোহাগ। তাতেই এই জুটি ভাঙে।

এরপরই দলটির ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। ইরফান শুক্কুর ৯ রান করেন ফেরেন। এরপর সেঞ্চুরির পথে থাকা জিসানকে ফেরান তাইবুর রহমান। এই স্পিনারের লাইনের বলে সুইপ খেলতে গেলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন জিসান। ফলে দুই রানের আক্ষেপ নিয়ে ৯৮ রানে ফিরতে তাকে। এরপর মেহরব হাসান ১৬ ও মার্শাল আইয়ুব ২ রানে ফিরলে বিপদ বাড়ে দলটি।

সেই বিপদ কাটিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান অধিনায়ক আকবর আলি। বাকিদের যাওয়া-আসার মাঝে এদিন ৬৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আকবর। কিন্তু জিয়াউর রহমানের বলে ৬৪ রানেই থামতে হয় তাকে। সবশেষ রিশাদের ১৯ রানে ২৬৪ রান তুলতে সক্ষম হয় দলটি। জামালের হয়ে এদিন তিনটি উইকেট পেয়েছেন তাইবুর। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন জিয়াউর, আরিফ আহমেদ ও সোহাগ।