|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ছয় উইকেটে ৪৮৭ রানে ভারত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণার পর জয়ের জন্য ৫৩৪ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। আগের দিন ১২ রানে তিন উইকেট হারিয়েই বড় পরাজয়ের দিকে যাচ্ছিল দলটি। অবশেষে ঘরের মাঠে প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে ভারতের বিপক্ষে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষদিন ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শের ইনিংস কেবল পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমিয়েছে।
চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ৫২২ রানের পাহাড় টপকাতে হতো অজিদের। হাতে দু'দিন সময় থাকলেও এত রান তাড়া করে জেতার ঘটনা টেস্টে আগে ঘটেনি। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অজিরা এই টেস্টে জিতলে অবধারিতভাবেই সেই বিশ্বরেকর্ড টপকে যেতে পারত।
তবে চতুর্থ দিনের শুরু থেকে তেমন কোনও লক্ষ্মণই দেখাতে পারেনি দলটি। এ দিনের শুরুতে নবম বলেই উইকেট হারায় অজিরা। মোহাম্মদ সিরাজের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে বল ওপরে তুলে আউট হন উসমান খাজা। সহজ ক্যাচ ছাড়েননি ঋষভ পান্ত।
এরপর হেডের সঙ্গে স্টিভ স্মিথের জুটি ভালোই থিতু হয়। দুজন মিলে দলের রানের খাতায় যোগ করেন ৬২ রান। এই জুটি ভাঙেন সিরাজ। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন স্মিথ। ফলে তার ৬০ বলে ১৭ রানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে।
এরপর অবশ্য বেশ কিছুক্ষণ অস্ট্রেলিয়াকে স্বপ্ন দেখান হেড এবং মার্শ। প্রতি–আক্রমণে খেলছিলেন এই দুজন। যদিও অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজনকে ফেরায় ভারত। ১০১ বলে ৮৯ রান করা হেডকে উইকেটের পেছনে পান্তের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান জসপ্রিত বুমরাহ। ভেঙে যায় দুজনের ৮২ রানের জুটি।
একটু পর ৬৭ বলে ৪৭ রান করা মিচেল মার্শকে বোল্ড করেন নীতিশ রেড্ডি। তারপর অস্ট্রেলিয়া একাদশে জোড়া আঘাত হানেন ওয়াশিংটন সুন্দর। মিচেল স্টার্ককে শর্ট লেগে নীতিশের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন তিনি। এরপর চা বিরতিতে যায় ভারত।
বিরতি শেষে খেলতে নেমেই আবারও উইকেট পান সুন্দর। মিচেল স্টার্ককে যে ওভারে আউট করার পর চা বিরতি দেওয়া হয়েছিল, সেই ওভারের আরও দুটি বল বাকি ছিল। নাথান লায়ন স্থায়ী হন সেই দুটি বলই। সুন্দরের বলে বোল্ড হন তিনি।
তারপর ২৩৮ রানে শেষ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। হর্ষিত রানার বলে বোল্ড হন অ্যালেক্স ক্যারি। ৫৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। পাঁচ টেস্টের বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে ভারত এগিয়ে গেল ১–০ ব্যবধানে।