|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) তিন দিন পর জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে সিলেট বিভাগ। শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ১০৫ রান। হাতে সবকটি উইকেট রয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে রেজাউর রহমান রাজার তোপে পড়া বরিশাল বিভাগ দ্বিতীয়বার পুড়ল খালেদ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে।
প্রথম ইনিংসে বরিশালের ৩০৪ রানের জবাবে সোমবার ৩৪২ রানে অলআউট হয় সিলেট। ৩৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বরিশাল। এই ইনিংসে তারা গুঁটিয়ে যায় ১৪২ রানে।
ছয় উইকেটে ২১৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে সিলেট। শুরুতেই আসাদুল্লাহ আল গালিবের উইকেট হারায় দলটি। তারপরে দলটির হাল ধরেন তোফায়েল এবং রাজা। বল হাতে উত্তাপ ছড়ানোর আগে ব্যাট হাতে ৮৪ বলে ৬৪ রান করেন তোফায়েল।
প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করা রাজার ব্যাটে আসে ৩৫ রান। অষ্টম উইকেটে দলের রানের খাতায় এই দুজন যোগ করেন ৯৪ রান। শেষ দিকে খালেদের ক্যামিও ইনিংসে সাড়ে তিনশর কাছে পৌঁছে যায় সিলেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে একেবারেই খাপছাড়া ছিল বরিশালের ব্যাটিং। খালেদের দারুণ স্পেলের সামনে ৭৪ রান তুলতে ছয় উইকেট হারায় তারা। তারপর মইন খান এবং সোহাগ গাজীর ব্যাটে কিছুটা স্বস্তি পায় তারা।
সপ্তম উইকেটে এই দুজন তোলেন ৫৭ রান। মইনের ব্যাটে আসে ৩২ রান। অভিজ্ঞ সোহাগ করেন ৩৫ রান। সিলেটের হয়ে চারটি উইকেট নেন খালেদ। তোফায়েল শিকার করেন ৩টি উইকেট। আগের পাঁচ রাউন্ডে তিনটি জয় ও দুটি ড্রয়ে ২৯ পয়েন্ট পাওয়া সিলেট এই ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হয়ে যাবে ৩৭।
বর্তমানে তাদের কাছাকাছি থাকা দল ঢাকা মেট্রো। মেট্রোর পয়েন্ট ২১। বাকি দুই ম্যাচে বাকি দুই ম্যাচে বোনাস পয়েন্ট না পেলে সিলেটকে টপকে যাওয়া সম্ভব হবে না মেট্রোর। বলা যায়, জাতীয় লিগের ইতিহাসে প্রথমবার শিরোপার স্বাদ পেতে যাচ্ছে সিলেট।