টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

বাংলাদেশের পেস ইউনিটে মুগ্ধ স্টেইন, মনে ধরেছে তানজিমকে

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 17:19 Tuesday, June 18, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

তাপস বৈষ্য, সৈয়দ রাসেল, ডলার মাহমুদ, রবিউল ইসলাম, নাজমুল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা থেকে রুবেল ইসলাম, বাংলাদেশের ক্রিকেটে পেসারদের কমতি ছিল না কখনই। তবে মাশরাফি বাদে বাকি কেউই সেভাবে লাইমলাইটে আসতে পারেননি। স্পিনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত বাংলাদেশে চলছে পেস বিপ্লব। সবশেষ কয়েক বছরে সেটা ক্রমশই বেড়েছে।

তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব এবং মুস্তাফিজুর রহমানরা সেই বিপ্লবের সামনের সাড়ির সৈনিক। একটা সময় কেবল ব্যাটার কিংবা স্পিনাররা ম্যাচ জেতালেও সেটা এখন বদলে গেছে অনেকটা। সবশেষ কয়েক বছরে বড় বড় ম্যাচ জেতাতে ভূমিকা রেখেছেন পেসাররা। এবারের বিশ্বকাপেও সেটার ছাপ রেখেছেন মুস্তাফিজ-তানজিমরা।

বাংলাদেশের এমন পেস ইউনিট দেখে বেশ খুশি ডেল স্টেইন। তাসকিনদের এমন বেড়ে ওঠার পেছনে ওটিস গিবসন, অ্যালান ডোনাল্ডদের প্রচেষ্টা দেখছেন সাউথ আফ্রিকার সাবেক এই পেসার। কিংবদন্তি কোচদের সঙ্গে কাজ করলে ক্রিকেটারদের মানসিকতাও অনেক পরিবর্তন আসে বলে জানান তিনি। স্টেইনের চাওয়া বাংলাদেশের পেস ইউনিট আরও বেশি উন্নতি করবে।

ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে স্টেইন বলেন, ‘অবশ্যই উন্নতি করছে। তারা বেশ কয়েকজন ভালো কোচের অধীনে ছিল গেল কয়েক বছর। আমার যতদূর মনে পড়ে ওটিস গিবসনের অধীনে ছিল ছেলেরা। এরপর অ্যালান ডোনাল্ডও ছিল। এই মুহূর্তে কে পেস বোলিং কোচ সেটা জানি না। কিন্তু আপনি যখন এসব বিশ্বমানের কোচদের অধীনে থাকবেন তখন আপনি ভালোভাবে শিখবেন। এধরণের কোচরা আপনাকে ইতিবাচকভাবে ভাবতে সাহায্য করে। আর আপনার বোর্ড যখন এভাবে ভাবে যে এসব লিজেন্ডারি কোচদের নিয়ে কাজ করবে তখন আপনার পেস বোলিং ইউনিট এমনিই উন্নতি করবে।’

জাতীয় দলের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেও পেসারদের শেখার সুযোগ রয়েছে বলে জানান স্টেইন। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গুলোতে খেলবেন তখন আরও উন্নতির সুযোগ আছে, সেটা আইপিএল হোক বা সিপিএল। সব ধরণের জায়গায় শেখার সুযোগ আছে, সেখার তো শেষ নেই। বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট ধীরে ধীরে অনেক উন্নতি করেছে, আশা করছি সামনে আরও করবে।’

বল হাতে এবারের বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন তানজিম সাকিব। এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশিদের মাঝে আছেন সবার উপরে। সবশেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২ মেইডেন দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। মাত্র ৭ রান খরচা করা তরুণ এই পেসার দিয়েছেন ২১ টি ডট বল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ডট বল দেয়ার তালিকায় ‍দুইয়ে আছেন তানজিম। বাংলাদেশের পেসারকে নিয়েও নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন স্টেইন।

সাউথ আফ্রিকার সাবেক এই পেসার বলেন, ‘দারুণ স্কিল। সে বল সুইং করাচ্ছিল। এরপর ইয়র্কারও দারুণ করছিল। যে যখনই উইকেটের জন্য বল ছুঁড়ছিল সফল হচ্ছিল। সুইংও পাচ্ছিল। সে ওভার দ্যা উইকেট, অ্যারাউন্ড দ্যা উইকেট বল করছিল। ব্যাটারকে দ্বিধায় ফেলে দিচ্ছিল। এতেই বোঝা যায় সে কত স্মার্ট। ওভার দ্যা উইকেটে তাকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য মনে হচ্ছিল যদিও। দারুণ প্যাকেজ লেগেছে। এই মুহূর্তে সে উইকেট পাচ্ছে। তার আগ্রাসন আমার ভালো লেগেছে। এর মানে সে ম্যাচের মধ্যে ছিল। মাঠে সে শতভাগ দিতে জানে।’