টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘তুই পারবি’, রিশাদকে বলেছিলেন শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 11:35 Friday, June 14, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট || 

বোলিংয়ে এসে প্রথম বলে ছক্কা খেয়ে শুরু হয়ে রিশাদ হোসেনে স্পেল। ডানহাতি এই লেগ স্পিনার প্রথম দুই ওভারে কোন উইকেট না দিয়ে খরচ করেন ১৯ রান। তবে নিজের তৃতীয় ওভার থেকেই আলো ছড়াতে শুরু করেন তিনি। জোড়া উইকেট নিয়ে ওলট-পালট করে দেন নেদারল্যান্ডসের পরিকল্পনা। এরপর নিজের শেষ ওভারে নেন আরও একটি উইকেট। প্রথম দুই ওভারে ১৯ রান দেয়া এই স্পিনার ৪ ওভার শেষ করেন ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।

১৬০ রানের লক্ষ্যে হিসেবের খাতা ঠিক রেখেই এগোতে থাকে নেদারল্যান্ডস। প্রথম ১০ ওভারে প্রতি ওভারেই অন্তুত একটি করে বাউন্ডারি হাঁকান ডাচ ব্যাটাররা। শেষ ১০ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮৪ রান। সেখান থেকেও ভালোই এগোতে থাকে তারা। কিন্তু ঝামেলা বাধে রিশাদের তৃতীয় ওভার থেকেই।

নেদারল্যান্ডসের জয়ের জন্য তখন দরকার ৩৬ বলে ৫৬ রান। হাতে ৭ উইকেট। ওভারপ্রতি দরকারি রান খুব একটা বেশি নয়।  ক্রিজে দুই সেট ব্যাটসম্যান সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও স্কট এডওয়ার্ডস। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন এমন পরিস্থিতিতে ভরসা রাখে রিশাদের ওপর। রিশাদও দেন প্রতিদান।

তার দুই ওভারের স্পেলেই মূলত ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। আর ডেথ ওভারে মুস্তাফিজের কারিশমায় ডাচদের হারিয়ে সুপার এইটের পথে আরও এক কদম এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। অবশ্য রিশাদ ম্যাচ শেষে বলেছেন, তিনি জানতেন একটি-দুটি উইকেট নিলেই ম্যাচে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। 

বল হাতে তিনি সেটাই করেছেন। আর অধিনায়ক নাজমুলেরও ভরসা ছিল উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরাতে এই রিশাদই পারবেন। ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে রিশাদ বলেন, 'শান্ত ভাই আমাকে বলেছেন, তুই পারবি, চেষ্টা কর, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। যখনই বোলিংয়ে আসি, চিন্তা করি দলকে কী দেওয়া যায়। উইকেট দিয়ে হোক কিংবা ডট বল দিয়ে হোক; চেষ্টা করেছি শুধু। বাকিটা আল্লাহ দিয়েছেন।’

সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেট নিয়ে রিশাদ বলেছেন, ‘উইকেট ভালোই ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে খেলার জন্য। মাঠে যারা ছিলাম, কখনোই মনে হয়নি হারার জন্য নেমেছি বা হেরে যাচ্ছি। সব সময় চিন্তা করেছি ফলাফল শেষ বলে দেখা যাবে। আমার মনে হয় ৫-১০ রান কম হয়েছে, তবে ঠিক আছে।’

ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম ৩ বলে রিশাদ দেন ৭ রান। তবে এর পরের তিন বলের মধ্যে ফিরিয়েছেন এঙ্গেলব্রেখট ও বাস ডি লিডিকে। তাতেই মূলত ঘুরে যায় ম্যাচের ভাগ্য। রিশাদ এর পরের ওভারে আবার ফেরান ফন বিককে। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ। 

বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে রিশাদ এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ৭ উইকেট। প্রতি ম্যাচেই দলের চাহিদা মিটিয়েছেন। তবু আরও উন্নতি করতে চান রিশাদ। রিশাদ জানিয়েছেন, ‘সব জয়ের মধ্যেই ভালো লাগা কাজ করে। অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে।'

'সবার শরীরী ভাষা, সবার যে চেষ্টা ছিল, সেটা অনেক ভালো লেগেছে। ইনশা আল্লাহ চেষ্টা করব আরও কীভাবে উন্নতি করা যায়। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি। ভেবেছি, এখান থেকে একটা-দুইটা উইকেট নিলে খেলাটা আবার আমাদের দিকে চলে আসবে। আমি এটা করার চেষ্টা করেছি।’

সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেট নিয়ে রিশাদ বলেছেন, ‘উইকেট ভালোই ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে খেলার জন্য। মাঠে যারা ছিলাম, কখনোই মনে হয়নি হারার জন্য নেমেছি বা হেরে যাচ্ছি। সব সময় চিন্তা করেছি ফলাফল শেষ বলে দেখা যাবে। আমার মনে হয় ৫-১০ রান কম হয়েছে, তবে ঠিক আছে।’

ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে রান না আসা বোলারদের জন্য চাপ কি না, এই প্রশ্নে রিশাদ বলেছেন, ‘ চাপ কিছু না, আমরা যখন ১১ জন মাঠে নামি, চেষ্টা করি সবাই এক হয়ে থাকার জন্য। প্রতিদিন তো একজন ভালো খেলে না। দিনে দিনে উন্নতি হচ্ছে। সামনে যতগুলো ম্যাচ আছে, অবশ্যই সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করব।’