বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সিরিজ

এভাবেও টেস্ট খেলা যায়...

জুবাইর

জুবাইর
প্রকাশের তারিখ: 19:20 সোমবার, 12 নভেম্বর, 2018

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||

দ্রুত উইকেট পতন ঘটেছে, উইকেট বোলারদের বিপক্ষে কথা বলছে, রান রেটের চাপ আছে, আকাশ কিছুটা মেঘলা, বোলাররা সুইং পাচ্ছে, আবার কোন স্পিনার দারুন এক স্পেলের মধ্যে আছেন, এমন অবস্থায় আধুনিক ক্রিকেটের অধিকাংশ ব্যাটসম্যান প্রতি আক্রমণের চাপ সরানোর চেষ্টা করে থাকে। 

যে কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের জন্য কথাটি সত্য। দ্রুত রান তুলে প্রতিপক্ষের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইবে ব্যাটসম্যানরা। বিশ্ব ক্রিকেটে খুব কম ব্যাটসম্যান আছেন, যারা এমন অবস্থায় একটু ওল্ড স্কুল ব্যাটিং করে থাকেন। চাপের মুখে মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থাকেন। বাজে বল শাসন করে রান আদায় করে নেন। কঠিন সময়টা পাড়ি দেন চোয়াল শক্ত করে, দ্রুত রানের জন্য ব্যাট চালিয়ে নয়। 

যার জন্য প্রয়োজন নিখাদ টেকনিকে পটু ব্যাটসম্যানের, ২০১৮ সালের মারদাঙ্গা ক্রিকেটের যুগে এমন নিখাদ ব্যাটসম্যান খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। চেতেশ্বর পুজারা, কেন উইলিয়ামসনদের সাথে সেই ছোট্ট ব্র্যাকেটে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম সহজেই জায়গা করে নিবেন। 

ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে এলিট ব্যাটসম্যানশীপের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে আরেকবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, কেন তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বিশ্ব ক্রিকেটের সত্যিকারের টেস্ট ব্যাটসম্যানদের একজন। সময়ের হিসেবে ৫৮৯ মিনিট, বলের হিসেবে ৪২১ বল, আর নামের পাশে জ্বলজ্বলে শব্দে লেখা ২১৯ রান...যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।

'আর আমি এই ইনিংসে কোন রকম ঝুঁকি না নিয়েই খেলেছি। এটা আমার কাছে বড় বিষয় মনে হয়েছে। আমার যেগুলো প্রিয় শট, সেগুলো ছাড়াই যে আমি এত সহজে রান করতে পারি, এই বিশ্বাসটা এসেছে নিজের খেলার মধ্যে। পরের বার এমন হলে আমি সেই শট গুলোতে ফিরতে পারব। এটা এই ইনিংসে বড় অর্জন ছিল,' বলেছেন মুশফিকুর রহিম। 

ক্রিকেট থেকে অ্যালিস্টার কুক, মাইকেল ক্লার্ক, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ইউনুস খানরা বিদায় নিয়ে নিয়েছেন। ২০১৮ সালের চার, সাড়ে চার রান রেটের টেস্ট ক্রিকেটের যুগে মুশফিকরাই ভিন্ন মাত্রা যোগ করে আসছেন। ভিন্ন শব্দে, টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যত মুশফিকদের সাফল্যে নির্ভরশীল।