|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৯ উইকেটে ৪০৮ রান নিয়ে খুলনা বিভাগ যখন ইনিংস ঘোষণা করেছে তখন তৃতীয় দিনের বাকি কয়েক ওভার। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ইফতিখার হোসেন ইফতি ও আব্দুল মজিদ অবশ্য বরিশাল বিভাগকে বিপদে পড়তে দেননি। মাত্র একদিন বাকি থাকায় জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে খুলনা ও বরিশালের ম্যাচের ফলাফল কোন দলের পক্ষে যাওয়াটা কঠিনই ছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। মজিদের সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ সালমানের আক্ষেপে পোড়া ৭৩ রানের ইনিংসে খুলনা ও বরিশালের ম্যাচ শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
খুলনার শেষ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আগের দিনের বিনা উইকেটে ২৮ রান নিয়ে খেলতে নামেন বরিশালের মজিদ ও ইফতিখার। সকালের শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন তারা দুজন। দিনের প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টায় বরিশালের দুই ওপেনারকে খুব বেশি চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি খুলনার বোলাররা। লাঞ্চের আগে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মজিদ। ডানহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে খানিকটা আক্রমণাত্বক ফিল্ডিং সেটআপ নিয়ে বোলিং করছিলেন সৌম্য সরকার। যদিও তাকে ফেরাতে পারেননি।
উল্টো ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের লেগ স্টাম্পের উপর করা ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে ৮৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। মজিদের হাফ সেঞ্চুরির একটু পর পঞ্চাশ ছুঁতে না পারার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে ইফতিখারকে। নাহিদুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের হালকা লাফিয়ে উঠা ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্লিপে শেখ পারভেজ জীবনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। বরিশালের বাঁহাতি ওপেনারকে ফিরতে হয়েছে ৪৫ রানে। ইফতিখারের বিদায়ে শেষ হয় দিনের প্রথম সেশনের খেলা।
লাঞ্চ থেকে ফিরে তাসামুল হককে সঙ্গে নিয়ে বরিশালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মজিদ। শুরু থেকেই দেখেশুনে ব্যাটিং করছিলেন তাসামুল। তবে শেখ মেহেদীর লো ফুলটস ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে থাকা মোহাম্মদ মিঠুনকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটারকে ফিরতে হয়েছে ৩৮ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে। তাসামুলের বিদায়ের খানিকবাদে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মজিদ। মেহেদীর অফ স্টাম্পের বাইরে বলে কাট করে থার্ডম্যানে ঠেলে দিয়ে ২ রান নিয়েছেন তিনি।
১৯৪ বলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৩তম সেঞ্চুরি করে উদযাপন করতে গিয়ে সেজদায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মজিদ। সেঞ্চুরির পর বেশ ঠাণ্ডা মাথায় খেলছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সালমানের সঙ্গে জুটির সেঞ্চুরি হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে। পেশির টানে অবসর নিয়ে মজিদকে ফিরতে হয় ২৫৫ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলে। ৩৬০ মিনিটের ইনিংসে ১৫টি চার মেরেছেন মজিদ। অভিজ্ঞ ব্যাটার উঠে যাওয়া ভাঙে সালমানের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি।
হাফ সেঞ্চুরি পেলেও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে না পারার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে সালমানকে। দারুণ ব্যাটিংয়ে ১১৯ বলে ৭৩ রান করেছেন তিনি। শেষ বিকেলের বাকিটা সময় কাটিয়েছেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন ও মইন। ৩ উইকেটে ২৮৭ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা দেয় বরিশাল। খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন জাওয়াদ রোয়েন, নাহিদুল ও মেহেদী। ফলে দিনের তৃতীয় সেশনে গিয়ে ড্র মেনে নেন বরিশাল ও খুলনার দুই অধিনায়ক।