|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আগের দিনই সিলেট বিভাগের তিন পেসারের তাণ্ডবে ১৫৮ রানে অল আউট হয়েছিল রংপুর বিভাগ। জবাবে খেলতে নেমে বিনা উইকেটে দিন শেষ করেছিল সিলেট। তবে দ্বিতীয় দিনে তারা ১৮৯ রানে নিজের প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছে। ফলে প্রথম ইনিংসে ৩১ রানের লিড নেয় সিলেট।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। তারা দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে। এদিন ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছেন।
আরেক ওপেনার খালিদ হাসান ফেরান ২০ রান করে। মীম মোসাদ্দেক ২১ রান করে ফিরে গেছেন। উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটার নাঈম ইসলামও। তিনি ১৫ রান করে আউট হয়েছেন। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
যদিও অধিনায়ক আকবর আলী ৪ ও তানবির হায়দার ২ রান করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। সিলেটের হয়ে একাই ৩টি উইকেট নিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। আর একটি করে উইকেট গেছে আবু জায়েদ রাহী ও খালেদ আহমেদের ঝুলিতে।
এর আগে বগুড়ার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ২৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন সিলেটের দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও তৌফিক খান তুষার। এই দুজনের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে ৬১ রানে। ২৮ রান করে ফিরে যান তুষার। এরপর পিনাক ও মাইশুকুর রহমান মিলে সিলেটের হাল ধরার চেষ্টা করেন।
মাইশুকুর ১১ রানের বেশি করতে পারেননি। আর পিনাক আউট হন ২৮ রান করে। এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে অমিত হাসান ৫৭ রান করলেও বাকি আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। ফলে সিলেট অল আউট হয় ১৮৯ রান করে। রংপুরের বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন রবিউল হক ও আবু হাসিম। আর একটি করে উইকেট যায় মুগ্ধ, আসাদুল্লাহ হিল গালিব ও রিজওয়ানের ঝুলিতে।