জাতীয় ক্রিকেট লিগ

মেহেদীর ৫ উইকেট, ফলো-অনে মেট্রো

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:23 রবিবার, 03 নভেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

জোড়া সেঞ্চুরিতে খুলনা বিভাগকে বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয় ও অমিত মজুমদার। তবে শেষের ৫০ রানে ৯ উইকেট হারানোয় ৩৭৬ রানে থামতে হয়েছে তাদের। খুলনার এমন পুঁজির জবাব দিতে নেমে নাইম শেখের হাফ সেঞ্চুরি ও আমিনুল ইসলামের ৪৪ রানের ইনিংসেও ফলো ফনে পড়তে হয়েছে ঢাকা মেট্রো। ৫ উইকেট নিয়ে মেট্রোকে ধসিয়ে দেয়ার কাজটা করেছেন শেখ মেহেদী হাসান। ফলো-অনে পড়া মেট্রো শেষ বিকেলে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ১২ রান তুলেছে। খুলনার চেয়ে ১৫৪ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামবেন নাইম ও আনিসুল ইসলাম ইমন। খুলনা অবশ্য জয়ের স্বপ্নে বিভোর।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকালের শুরুতে আগের দিনের ৬ উইকেট ৩৫৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন মেহেদী ও টিপু সুলতান। দিনের ওভারেই উইকেট হারায় তারা। ফাহিম হাসানের প্রথম বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে চার মারার বলের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন মেহেদী। আব্দুল হালিম, আল হোসেনও ফিরেছেন দ্রুতই। ৬.১ ওভারে মাত্র ১৮ রান যোগ করে এদিন ৪ উইকেট হারায় খুলনা। তাতে জোড়া সেঞ্চুরির পরও প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে থামতে হয়েছে তাদের। মেট্রোর হয়ে ফাহিম চারটি ও শহিদুল ইসলাম তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

খুলনাকে জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয় মেট্রোর। উদ্বোধনী জুটিতে নাইম ও আনিসুল মিলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। একেবারে শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন তারা দুজন। ১৬ ওভারে ৫০ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় মেট্রো। তবে লাঞ্চ থেকে ফিরেই উইকেট হারায় তারা। হালিমের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে থাকা সুলতানকে ক্যাচ দিয়েছেন আনিসুল। ডানহাতি ওপেনারকে ফিরতে হয়েছে ৬৩ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেনি আইচ মোল্লাহ।

মেহেদীর দারুণ এক ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেট হতে হয়েছে ডানহাতি ব্যাটারকে। ৬ রান করা আইচ ফেরার একটু পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাইম। মেহেদীর বলে সুইপ করে চার মেরে ৯৮ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে দলের রান একশ ও নিজের হাফ সেঞ্চুরি হতেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। মেহেদীর শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন নাইম। তবে একটু টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে বলের লাইনে যেতে না পারায় স্টাম্পিং হয়েছেন ৫৪ রানে।

শামসুর রহমান শুভ টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। অফ স্পিনার মেহেদীর বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে করেছেন মাত্র ১ রান। এরপর অবশ্য মার্শাল আইয়ুব ও আমিনুল মিলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন। তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছেন হালিম। ডানহাতি পেসারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৪৯ বলে ৩৭ রান করা মার্শাল। শেষের ব্যাটাররা সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। এক প্রান্ত অবশ্য আগলে রেখেছিলেন আমিনুল।

গাজী তাহজিবুল ইসলাম, শহিদুল, রাকিবুল হাসানরা ব্যাট হাতে অবদান রাখতে না পারায় ২১০ রানে থামতে হয় মেট্রোকে। অনেকটা সময় টিকে থাকা আমিনুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ রান। খুলনার হয়ে ৬২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী। এ ছাড়া হালিম তিনটি ও সুলতান নিয়েছেন দুটি উইকেট। ফলো-অনে পড়া মেট্রোকে আবারও ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১.৩ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ১২ রান তুলেছে তারা। নাইম ১১ এবং আনিসুল অপরাজিত আছেন ১ রানে।