জাতীয় ক্রিকেট লিগ

ইফতেখার ১১৬, বরিশাল ২০৫

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:00 রবিবার, 03 নভেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

আব্দুল মজিদ, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, তাসামুল হক, মইন খানরা একে একে সাজঘরে ফিরলেন ব্যর্থতার গল্প লিখে। তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে বরিশাল বিভাগের আশার আলো হয়েছিলেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। শেষ ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে খেলেছেন অনবদ্য ১১৬ রানের ইনিংস। ইফতেখারের এমন লড়াকু সেঞ্চুরির পরও জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে ২০৫ রানে অল আউট হয়েছে বরিশাল। বোলিংয়ে ৫১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রাজশাহী বিভাগের সফল বোলার ওয়ালিদ।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে প্রথম দিন টস হয়নি। দ্বিতীয় দিনে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে উইকেট হারায় বরিশাল। ওয়ালিদের লেগ স্টাম্পের উপর করা ডেলিভারিতে শর্ট ফাইন লেগে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন ইফতেখার। বাঁহাতি ওপেনারের ডাকে সাড়াও দিয়েছিলেন মজিদ। তবে স্ট্রাইক প্রান্তে পৌঁছানোর আগে এসএম মেহেরবের থ্রোতে রান আউটে কাটা পড়তে হয়েছে তাকে।

আউট হয়ে ফেরার সময় ব্যাট ছুঁড়ে মেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ১৫ বল খেললেও এদিন রানের খাতা খুলতে পারেননি মজিদ। তিনে নেমে দ্রুতই ফিরে গেছেন আদিল বিন সিদ্দিকী। সাব্বির হোসেনের স্টাম্প বরাবর ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে গিয়ে এজ হয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা হাবিবুর রহমান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২ রান করা তরুণ এই ব্যাটার। ফজলে রাব্বিও ২ রানের বেশি করতে পারেননি। অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন ওয়ালিদ।

ডানহাতি পেসারের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বরিশাল। সেখান থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সালমান হোসেন ইমন ও ইফতেখার। তারা দুজনে মিলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। সালমানের বিদায় ভাঙে তাদের এই জুটি। মোহর শেখের লেগ স্টাম্পের বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন সালমান। তবে টপ এজ হয়ে গালিতে থাকা মিজানুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। ডানহাতি ব্যাটারকে ফিরতে হয় ৫৩ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে।

একটু পর ১১০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইফতেখার। বরিশালের রান একশ হয়েছে ৩৭.১ ওভারে। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে তাসামুল ও মইনের উইকেটও হারায় তারা। চা বিরতি থেকে ফেরার পর ৩৩ রান করা মইনুলকে আউট করেছেন সানজামুল ইসলাম। শেষ দিকে উইকেটে পড়ে ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি, তানভীর ইসলাম ও রুয়েল মিয়া। যার ফলে ১৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ইফতেখার। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হয়েছেন ১১৬ রানে। বরিশালকে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামলেও আলোকস্বল্পতার কারণে ১ বলের বেশি খেলতে পারেনি রাজশাহী।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বরিশাল বিভাগ (প্রথম ইনিংস)- ২০৫/১০ (৭২.৪ ওভার) (ইফতেখার ১১৬, সালমান ৩০,মইনুল ৩৩; ওয়ালিদ ৪/৫১)