|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রান রেটে পিছিয়ে থাকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুধু বাংলাদেশকে শুধু জিতলেই হবে না। সেরা চারে যেতে হলে ১২.১ ওভারে আফগানদের দেয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য পার করতে হতো বাংলাদেশকে। এমন সমীকরণের ম্যাচে নাভিন উল হকের করা প্রথম ওভারে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছিলেন লিটন দাস। যদিও পরের ওভারে উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।
ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। তিনে নেমে দ্রুতই ফিরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। রানের খাতা খুলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। কয়েক বলের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তিন উইকেট হারানোর পরও ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়নি তাওহীদ হৃদয়কে। অথচ বাংলাদেশের বর্তমান স্কোয়াডের সেরা ব্যাটার তিনি।
ছক্কা মারার দিক থেকে অন্য সবার থেকে এগিয়ে হৃদয়। অথচ ওভারপ্রতি প্রায় ১০ রান করতে এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েও তরুণ এই ব্যাটারকে ছয়ে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচ শেষে তাই নাজমুল শান্তর কাছে জানতে চাওয়া হয় হৃদয়কে খেলানোর কারণ। বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছেন, ডানহাতি ও বাঁহাতি ব্যাটিংয়ের সমন্বয় রাখতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আজকে মিক্স আপ করা হয়েছে। এটার কারণ হল আমরা রাইট হ্যান্ড, লেফট হ্যান্ড কম্বিনেশন করার চেষ্টা করেছিলাম। লিটন এক পাশে ব্যাট করছিল, ওদের বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্র্য ছিল। ফলে সেজন্য রাইট হ্যান্ড, লেফট হ্যান্ড কম্বিনেশন করা হচ্ছিল এবং এটা সবাই জানত।’
সেমিফাইনালে যেতে হলে ১৯ বলে ৪৫ রান করতে হতো বাংলাদেশ। এমন সময় উইকেটে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন। তখনও সেরা চারের আশায় বুক বাঁধছিলেন সমর্থকরা। তবে নূর আহমেদের ওভারে ৫টা ডট দিয়ে বাংলাদেশকে বিপাকে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর সাজঘরে ফিরেছেন ৯ বলে মাত্র ৬ রানে।
রিয়াদের এমন ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শান্ত বলেন, ‘দেখেন আসলে প্ল্যানটা এরকম ছিল আমরা প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করব। আমাদের প্ল্যান ছিল যদি শুরুতে উইকেট না পড়ে আমরা সুযোগটা নিব। যখন আমাদের ৩ উইকেট পড়ে গেল, তখন আমাদের প্ল্যানটা ভিন্ন ছিল যে কীভাবে আমরা ম্যাচটা জিতব। এরপর আমি বলব মিডল অর্ডাররা ভালো সিদ্ধান্ত নেয়নি।’