জাতীয় ক্রিকেট লিগ

ঢাকা-চট্টগ্রামের ড্রয়ে অঙ্কনের ১ রানের আক্ষেপ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 19:29 Tuesday, November 5, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে সেঞ্চুরির পর হুট করেই জাতীয় দলের হয়ে ডাক পেয়েছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। লিটন দাসের অসুস্থতায় অভিষেক হলেও সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের প্রথম টেস্টটা একেবারে ভুলে যেতে চাইবেন তরুণ এই উইকেটকিপার ব্যাটার। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলায় দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিলেন না তিনি। দুঃস্বপ্নের মতো সময় কাটিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ফিরেই ঢাকা বিভাগের হাল ধরেন অঙ্কন। তবে কক্সবাজারেও আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাকে। অঙ্কনের ৯৯ রানের ইনিংস খেলার ম্যাচে ড্র হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা।

কক্সবাজারের একাডেমি গ্রাউন্ডে আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৮১ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে থেকে সকালের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন অঙ্কন। তবে দিনের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। পেসার আহমেদ শরিফের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে দেখেশুনে ডিফেন্স করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা পারভেজ হোসেন ইমনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে ৯৯ রানের ইনিংস খেলা ইমনকে। একটু পর সাজঘরে ফিরে গেছেন শুভাগত হোমও।

মোহাম্মদ ইরফান হোসেনের লেগ স্টাম্পে করা ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়াসিন আরাফাত মিশু ক্যাচ নিতেই ২ রানে ফিরে যেতে হয় শুভাগতকে। সেখান থেকে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তাইবুর রহমান ও সুমন খান। দিনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকাকে আর কোন উইকেট হারাতে দেননি তারা দুজন। ৬১ রান করা তাইবুরকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান।

ডানহাতি অফ স্পিনারের মিডল স্টাম্পের ডেলিভারিতে এজ হয়ে প্রথম স্লিপে থাকা শাহাদাত হোসেন দিপুকে ক্যাচ দিয়েছেন। কয়েক ওভার পর ফিরেছেন সুমনও। ৬৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলা সুমনকে নিজের শিকার বানিয়েছেন হাসান মুরাদ। শেষ দিকে ঢাকার রান বাড়িয়েছেন ২৬ রান করা নাজমুল ইসলাম অপু ও ২৮ রান করা রিপন মণ্ডল। ৩০ রানের লিড নিয়ে ঢাকা অল আউট হয় ৪০১ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ইরফান, মুরাদ ও নাঈম। বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন শরিফ।

ঢাকার চেয়ে ৩০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম। সাব্বির হোসেন ও পারভেজ ইমন মিলে শুরুটা ভালো করেন। তবে দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার আগে তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন এনামুল হক। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে এজ হয়ে আশিকুর রহমান শিবলিকে ক্যাচ দিয়েছেন। সাব্বিরের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ বলে ১৯ রান। আরেক ওপেনার পারভেজ ইমন ফিরেছেন একটু পরই।

বাঁহাতি ব্যাটারকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন এনামুল। ডানহাতি পেসারের বলে উইকেটকিপার আশিকুর শিবলিকে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৯ রান করা পারভেজ ইমন। চারে নেমে ইরফান শুক্কুর আউট হয়েছেন দ্রুতই। বাঁহাতি ব্যাটারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন নাজমুল অপু। এদিকে তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া সাজ্জাদুল হক রিপন। এবার আউট হয়েছেন ৫০ বলে ৯ রান করে। চট্টগ্রাম ৪ উইকেটে ১২৪ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।